একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে ২০ দলীয় জোট মনোনীত ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থীত প্রার্থী তাহসিনা রুশদীর লুনার মনোনয়ন নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগও বহাল রেখেছে।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে তাহসিনা রুশদীর লুনার করা আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। ফলে এ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া অনেকটা অনিশ্চত হয়ে পড়েছে এ হেবিওয়েট প্রার্থীর।
আদালতে তাহসিনা রুশদীর লুনার পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ।
আর রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মফিকুল ইসলাম বাবুল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। একই আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহহিয়া চৌধুরীর করা এক রিট পিটিশনের শুনানি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার লুনার প্রার্থীতা বাতিলের আদেশ দেন বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ।
আদালতে করা রিট আবেদনে ইয়াহহিয়া চৌধুরী বলেন, আরপিও অনুযায়ী-সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেয়ার তিন বছর পর সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার বিধান থাকলেও তাহসিনা রুশদীর লুনা ৬ মাস আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রারের পদ থেকে অব্যাহতি নেন।
তাই আরপিও অনুযায়ী-লুনার প্রার্থীতা অবৈধ দাবি করে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন ইয়াহহিয়া চৌধুরীর আইনজীবী। নির্বাচন কমিশন লুনার প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হাইকোর্টে রিট করেন ইয়াহহিয়া চৌধুরী। শুনানি শেষে বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ তাহসিনা রুশদীর লুনার প্রার্থীতা স্থগিতের আদেশ দেন।
আজ হাইকোর্টের আদেশের পর আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, আদালত লুনার মনোনয়ন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। ফলে তিনি আর নির্বাচন করতে পারছেন না।
তবে তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাষিত প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি বিধিমালায় রয়েছে-আগের দিন চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে পরের দিন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে। তবু তিনি গত ১ জুলাই ডেপুটি রেজিস্ট্রারের পদ থেকে ইস্তফা দেন। চাকরি ছাড়ার ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি প্রার্থী হয়েছেন।