Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষার্থীসমাজের আশার প্রতিফলন কম: এমডব্লিউইআর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:৫৫ PM
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:৫৫ PM

bdmorning Image Preview


রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার পর্যবেক্ষণ করেছে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস (এমডব্লিউইআর)। এতে আমাদের কাছে মনে হয়েছে "নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষার্থীসমাজের আশার প্রতিফলন কম"। এটি আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব ছিল।

মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটসের আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ, যুগ্ম-আহ্বায়ক এনায়েতুল্লাহ কৌশিক, রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী, মেসবাউল হাসান, এএসএম সুজাউদ্দীন ও মো. আরিফুল ইসলাম কর্তৃক গণমাধ্যমে পাঠানো একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (মহাজোট) ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। এসব ইশতেহারে শিক্ষার্থীসমাজের আশার প্রতিফলন কম লক্ষ্য করা গেছে।  

জোট দুটি তাদের ইশতেহারে শিক্ষাখাতে আরও ভালো কিছু দিক উল্লেখ করতে পারতো কিন্তু ভাবেননি, করেননি। বিষয়টি শিক্ষার্থীসমাজকে ভাবিয়ে তুলেছে।

চলতি বছরের ২৭ মে ও ১৪ নভেম্বর মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস (এমডব্লিউইআর) সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিল সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একটি নীতিমালার মধ্যে এনে একটি সিলেবাস তৈরি করে বাজেটের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু কোন দলই এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথা মাথায় আনেননি। তাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিতে কার্যকরী উদ্যোগের চিন্তা করেনি। শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি ছাতার নীচে আনতে ব্যর্থ হলে সকল অর্জন বিফলে যাবে। দেশে ‘সুদক্ষ ও কর্মঠ’ নাগরিক তৈরিতে বাধার সৃষ্টি হবে। দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ সিলেবাস এক হওয়া প্রয়োজন। কেননা শিক্ষাব্যবস্থা ভিন্ন হলে কাজের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়, দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বাধা পড়ে।

স্বাস্থ্যখাতে শিক্ষার্থী সমাজের প্রত্যাশা ছিল গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো শক্তিশালীকরণ, থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতালগুলোকে অত্যাধুনিক ও বিভাগীয় পর্যায়ে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করলে সকল বিভাগীয় শহরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর ভবনসহ সকল সুবিধা পর্যায়ক্রমে আধুনিকীকরণ করবে। ১ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের উপরে সকল নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিবে বিষয়টি ইতিবাচক যদিও এমডব্লিউইআরের দাবি ছিল চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে করে দিতে হবে। তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।

সংস্কৃতি হলো মানুষরে প্রাণ। আপনি যখন ক্লান্ত হয়ে যাবনে তখন আপনাকে শান্ত করার জন্য সংস্কৃতি দরকার। সংস্কৃতির উন্নয়নে কি কি কাজ করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন কছিুর প্রতফিলন দখেতে পাইন। দেশীয় সংস্কৃতির উন্নয়নে কে কি কাজ করবে। আন্তর্জাতিক সংস্কৃতিকে সমন্বয় করে কোনো কাজ করবে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।

ক্রীড়া ক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় কয়কেটি ক্রীড়া বাংলাদেশে লক্ষ্যণীয়। আবহমানকাল থকে যে ক্রীড়াগুলো বাংলাদেশে আছে এর উন্নয়নের জন্য কোন দিক নির্দেশনা নেই ঐক্যফ্রন্ট এবং মহাজোট দুটোর ইশতেহারেই। এ কারণে বিষয়গুলো আমাদেরকে অনেক ভাবিত করছে।

২০২১ সালে বাংলাদেশ ৫০ বছরে পর্দাপণ করবে। আর এই সময়ে বাংলাদেশে ৪ কোটিটর উপরে ভোটার র্কমহীন। যাদের  বয়স ১৫ থেকে ৩৫ বছর। এই বেকারদের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বাংলাদশে আওয়ামী লীগরে ইশতেহারে নির্দিষ্টি করে কোন কিছু লেখা নেই। কিভাবে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে যদি ৪ কোটি মানুষ বেকার থাকে তাহলে আপনি কিভাবে উন্নয়ন করবেন? আর অনেক দলই বলছের যুবকদের বেকার ভাতা দেওয়ার কথা। যুবকদের বেকার ভাতা না দিয়ে তাদেরকে কর্মসংস্থান দিতে হবে। একটু জায়গা দিতে হবে যাতে তারা কাজ করে নিজেদের উন্নতি করতে পারে, নিজের মেধাকে সমৃদ্ধ করতে পারে। দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পারে।

ইশতহোরে না থাকলে কাজ করার সময়ও এটি অন্তর্ভুক্ত করা যায়। আগামীতে যারা সরকার গঠন করবেন তারা বিষয়টি প্রাধান্য দিবেন বলে আমরা আশা করছি।

তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে ইশতেহারে ঘোষিত বিষয়গুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে দিক-নির্দেশনা নেই।

সাথে সাথে ইশতেহারগুলোতে অনেক আশার দিক রয়েছে। সাফল্যের চিন্তা রয়েছে আমরা সেসবকে স্বাগত জানাচ্ছি।

Bootstrap Image Preview