Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাশরাফির হয়ে কাজ করছে বিএনপি?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৯ PM
আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৯ PM

bdmorning Image Preview


মাশরাফি খেলার মাঠে থাকলেও নির্বাচনী মাঠে আছে জনতা। নড়াইল-২ (সদর-লোহাগড়া) আসনে মহাজোট প্রার্থী ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী মাঠে স্বক্রীয় নন।

নড়াইল শহর ও পৌর এলাকায় ধানের শীষের প্রতীকের কোনো পোস্টার, ব্যানার বা মিছিল-মিটিং চোখে পড়ে না। জেলা বিএনপির কার্যালয়ও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ।

এমনকি মহান বিজয় দিবসের দিনেও বিএনপি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। বিএনপির নেতাকর্মীরাও তার সঙ্গে নেই। বরং অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থক গোপনে মাশরাফির পক্ষে কাজ করছেন।

২০ দলীয় জোটের শরিক এনপিপির চেয়ারম্যান এজেডএম ড. ফরিদুজ্জামান এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া ইউনিয়নের করফা গ্রামে। থাকেন ঢাকায়। এলাকার তার তেমন পরিচিতি নেই। এমনকি নতুন প্রজন্মের কেউ তাকে চেনেও না।

এ ছাড়া তার দল এনপিপির কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও তাকে এবং তার কর্মী বাহিনীকে তেমন একটা মাঠে দেখা যাচ্ছে না। বরং বিএনপির অনেক নেতাকর্মী গোপনে মাশরাফির পক্ষে ভোট চাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নৌকার প্রার্থী মাশরাফি সশরীরে নির্বাচনী মাঠে না থাকলেও তার পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাড়াও নড়াইলের ৬৮টি স্পোর্টস ক্লাব, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণি এবং ব্যবসায়ীরা নিজ খরচে তার নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নেমেছেন। শহরের ক্ষুদ্র হোটেল মালিক, ফল বিক্রেতা, ইজিবাইক সমিতির নেতারা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী মাশরাফির জন্য কাজ করছেন।

মাশরাফির বন্ধু ও তার নির্বাচন প্রতিনিধি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বোস বলেন, ১৯৯৮-৯৯ সালের এসএসসি ব্যাচের একঝাঁক শিক্ষার্থী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং কিশোর-তরুণরা নিজ খরচে মাশরাফির পক্ষে গণসংযোগ করছেন।

তিনি বলেন, বুধবার মাশরাফি নড়াইলে আসতে পারেন।

নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস এবং সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু বলেন, এ আসনে বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীক জয়ী হবে।

এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী এজেডএম ফরিদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগ। এ ছাড়া তার নির্বাচনী কার্যক্রমে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন ও সরকারি দল তাদের নির্বাচনী কাজে বাধা প্রদান করায় কৌশলগত কারণে পোস্টার, ব্যানার ও মাইকে প্রচার কম করা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview