টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের দমাতে পারেনি সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই রাগটা একটু বেশি থাকাই স্বাভাবিক। প্রতিশোধ নিতে হলে এখন তাদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছাড়া আর কিছুই নেই। তাই সিরিজ জয়ের লক্ষে সাত সাগর আর তের নদী থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসলেন জামাইকার সৈনিক নামে খ্যাত শেলডন কোটরেলকে তাঁর সাথে ছিলেন লুইস ও নিকোলাসের মত তারকা খেলোয়াড়াও।
কিন্তু এই দিন টাইগারদের যেন একাই বদ করলেন এই জ্যামাইকা সৈনিক। বল হাতে যেন এক একটি বোম ছুড়তে থাকলেন । সে বোমে নিমিষেই উড়ে গেল টাইগার ব্যাটসম্যানরা। যেন অসহায় আত্মসমর্পন!
সিলেটের মাটিতে দিনের আলোয় এই টি-টোয়েন্টির ম্যাচে প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিন্ধান্ত নেন টাইগার ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। এটাই মনে হয় সাকিবের মস্ত বড় ভুল ছিলো। টাইগারদের ব্যাটিং সিন্ধান্তের সেই ভুলের সুযোগটা কাজে লাগালেন শেলডন কোটরেলকে।
বোলিংয়ের শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক বোলিং করতে থাকেন এই ডান হাতি পেস বোলার। খেলার দ্বিতীয় ওভারের মাথায় বদ করলেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবালকে। এটাই ছিলো টাইগারদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরু। এরপরও থেমে থাকেননি এই সৈনিক। ৩ ওভার ৩ বলের মাথায় ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলান গত ম্যাচের হিরো সৌম্য সরকারকে। সৌম্যকে হারিয়ে নিমিষেই যেন ধ্বস নেমে এলো টাইগার শিবিরে।
কিন্তু এখানেই শেষ নয় জ্যামাইকা সৈনিকের আক্রমণ এখনো বাকি আছে। সাকিবের সাথে বড় জুটি গড়ার লক্ষে ব্যাটিং করা মাহমুদউল্লাহকে বুকা বানিয়ে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন উইকেটরক্ষক হোপের হাতে। কোটরেল ঝড়ে তখন যেন দিশেহারা টাইগার শিবির। এরপর শেষ সর্বনাশ করে যেন ক্ষ্যান্ত হলেন এই জ্যামাইকার সৈনিক।
দীর্ঘ সময় উইকেটে থাকা সাকিব আল হাসানকে নিজে বল করে নিজেই ক্যাচ আউট করে করলেন মাঠ ছাড়া। চোখের পলকে পাল্টিয়ে গেল টাইগারদের শিবিরের চিত্র। অন্যদিকে তিন শক্তিশালী টাইগার বদ করে জ্যামাইকা সৈনিকের উদযাপন ছিলো অন্যরকম।
ম্যাচে শেষে পেস কনফারেন্সে এসে জানালেন সেই উইকেট উদ যাপনের কথা,'উইকেট পাওয়ার পর ওভাবে সেলেব্রশনের আলাদা কোন কারন নেই। আপনার জানেন আমি আগে একজন সৈনিক ছিলাম। তাই উইকেট প্রাপ্তির পর ওভাবে উদযাপন করে থাকি। আমি যেখান থেকে আজকের অবস্থানে এসেছি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের চেষ্টা করি এভাবে উদযাপনের মাধ্যমে।'
৪ ওভার বলে করে ২৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। উইন্ডিজ জয় পেয়েছে ৮ উইকেটের । ম্যাচ অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছেন দুর্দান্ত এই বোলিং করে।