আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
গণসংযোগ চালানোর সময় শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
৩০/৪০ জন দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন প্রায় ৬০ জন। হামলাকারীদের হাতে লাঠি, লোহার রড, চাপাতি ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে আহতদের কয়েকজন অভিযোগ করেন।
এ ঘটনার পর মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, হামলা-মামলা হলেও তাঁরা নির্বাচন থেকে পালিয়ে যাবে না। আঘাত এলে বীরের মতো বুক পেতে নেবেন, পিঠে আঘাত করতে দেবেন না।
হামলার বিষয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, আমি নেতাকর্মীদের বাইরে রেখে বাজারে ঢুকি। এক পর্যায়ে হঠাৎ দেখি- একদল ছেলে হিংস্র মারমুখী মনোভাব নিয়ে আমার নেতা-কর্মীদের বেধড়ক পেটাচ্ছে। আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী তাদের থামানোর চেষ্টা করে আহত হয়েছেন। এক কর্মীর হাত ভেঙে গেছে। তাঁরা না থাকলে হয়তো আপনাদের সামনে কথা বলতে আসতে পারতাম না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে তো কোনো অস্ত্র ছিল না। লিফলেটই ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এর মধ্যে আমরা আঘাতের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। জানে তো বেঁচে গেছি। তবে এমন আঘাত এলে বীরের মতো বুক পেতে নেব, পিঠে আঘাত করতে দেব না। দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের ওপর হামলা-মামলা হচ্ছে, এসব মোকাবিলা করেই আমরা নির্বাচনে আছি। আমরা পলায়নপর হব না।