Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিদ্রোহী প্রার্থীরা জোটের পক্ষে মাঠে না নামলে কঠোর ব্যবস্থা: নানক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:১৭ PM
আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:৩০ PM

bdmorning Image Preview


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগে কোনও বিদ্রোহী প্রার্থী নাই। কিছু প্রার্থী আছে যাদেরকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে এবং আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করতে হবে। নতুবা আমরা কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আজ শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ সময় আ।লীগের পক্ষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের ওপর ড. কামাল হোসেনের ক্ষুদ্ধ আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

তিনি বলেন, গতকাল ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে কি ধরনের অশুভ ক্ষুদ্ধ আচরণ করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের হুমকি-ধামকি দিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রাজনীতিতে কামাল হোসেনকে কখনো জাতির সংকট মুহূর্তে পাওয়া যায়নি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং ১৯৭৫ সালে ড. কামাল হোসেনের রহস্যাবৃত বিতর্কিত ভূমিকার কথা দেশবাসী জানে। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে তাকে কখনো পাওয়া যায়নি বরং তিনি বিভিন্ন সময়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন ড. কামাল হোসেনের ষড়যন্ত্র রাজনৈতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতারই অংশ।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রতিনিয়ত নয়াপল্টনে বসে মিডিয়ার সামনে মিথ্যাচার করে চলছে দাবি করে নানক বলেন, রিজভীর অসংলগ্ন কথাবার্তা ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যা শুনলে স্বয়ং ইবলিশ শয়তানও লজ্জা পেতে পারে। মিথ্যা বলাকে উদ্দেশ্যবিহীন অভ্যাসে পরিণত করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী সাহেব প্রলাপ বচন শুরু করেছেন। আপনারা দেখছেন যে, তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে কিভাবে লজ্জাকর মন্তব্য করেছেন। যদিও যাদের অস্থিমজ্জায় মিথ্যাচার থাকে এবং মিথ্যা বলা যাদের উদ্দেশ্যবিহীন অভ্যাসে পরিণত হয়, তাদের পক্ষে সত্যের পথে ফিরে আসা অত্যন্ত দুরূহ। তারপর আমরা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানাই, মিথ্যাচারের পথ পরিহার করে সত্য ও সঠিক পথে ফিরে আসুন।

বিএনপি মিথ্যাচার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করছে এমন অভিযোগ করে নানক বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে, দেশবাসী ও ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে এবং অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচার প্রচারণা চলছে। কিন্তু দেশবাসীর সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করেছি, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা সকাল থেকে সারাদিন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ মিডিয়ার সামনে লাগাতারভাবে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে উসকানি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপপ্রচার-মিথ্যাচারের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত করে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করছে। এসময় তিনি অপপ্রচার ও মিথ্যাচার ছেড়ে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ-৩০০ আসনেই বিএনপি প্রার্থী প্রচারণায় নামতে পারছে না, তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং এই বাধা প্রধান নির্বাচন কমিশনের ইঙ্গিতে হচ্ছে - এর প্রেক্ষিতে নানক বলেন, এটি বিএনপির পুরানো অভ্যাস। তারা এই মিথ্যাচার নির্বাচনের দিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত করবে। এমন বক্তব্যে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার কোনও সুযোগ নাই আর। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এ বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর সবুর, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

Bootstrap Image Preview