খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মাটিরাঙ্গা'র "স্বাধীনতা সোপানে" উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিষণ কান্তি দাশ।
পুষ্পমাল্য অর্পন শেষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বিভিষণ দাশে'র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মনছুর আলী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশ যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দারপ্রান্তে ঠিক তখনী পাকবাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে আমাদের দেশকে মেধাহীন করার ষড়যন্ত্র করেছিল যা ইতিহাসে বিরল। এই প্রতিকূলতা পেরিয়ে আমরা ঘুরে দাড়িয়েছি এবং চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে পেরেছি বাঙ্গালী জাতি কখনো মাথা নত করে না।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বিভিষণ কান্তি দাশ বলেন, গত ২১ বছরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত ইতিহাস প্রকাশ করা হয় নি। কারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। আজ আমরা প্রকৃত সত্যকে জানতে পেরেছি।
অতিদক্ষ ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী,এই দক্ষ বাহিনীকে পরাজিত করেছিল বাংলার বীর মুক্তিসন্তানেরা।
আলবদর বাহিনী বুদ্ধিজীবিদের তালিকা দেয় পাকিস্তানি বিপদগামী সেনাবাহিনীকে। তালিকা দেখে তাদেরকের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিলে দেশের জন্য বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ সার্থকতা পাবে বলে জানান তিনি।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, আবুল হাসেম, ডঃ মোঃ খায়রুর আলম উপজেলা সাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা,অধ্যক্ষ মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাটিরাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ উদ্দিন খন্দকারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/শিক্ষিকা শিক্ষার্থী ও সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দ।