Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বুধবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাঙ্গাবালীতে আ’লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে অর্ধশত আহত, আটক ৮

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৩০ PM
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৩১ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থনে পাল্টাপাল্টি সভায় কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় দলের অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার খালগোড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় উপজেলার খালগোড়া বাজারের রাঙ্গাবালী জাহাগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে এক সভার আয়োজন করা হয়। একই সময় ওই বাজারের বালুর মাঠে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিব্বুর রহমান মহিবের সমর্থকরাও সভার আয়োজন করেন। তবে মহিব্বুর রহমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

এতে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি সভা হওয়ায় দুই পক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায় বিকেল সাড়ে ৩টায় তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়।

দফায় দফায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের সংঘর্ষে এনামুল ইসলাম লিটু, মজিবর রহমান, মশিউর রহমান শিমুল, সোহেল মাতুব্বর, জসিম হাওলাদার, বাবু তালুকদার, খালিদ বিন ওয়ালিদ, মহসিন মৃধা, রাজিব রহমান, জাকির, মিজানুর রহমান, শওকত প্যাদা, মহসিন হাওলাদার, মাসুম হাওলাদার, নাজমুল হোসেন, রাব্বি হাওলাদার, স্বপন ও নিয়াজ আকনসহ অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন।

পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে আটক করেন। এতে দুই পক্ষের ডাকা সভা পণ্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও লোকজনের মধ্যে  আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এবিএম মোশাররফ হোসেন বিডিমর্নিংকে বলেন, আমরা জাহাগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী সভা করব বলে প্রশাসনসহ সকল যায়গা থেকে অনুমতি নিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি আ.লিগের নেতাকর্মীরা চেয়ার টেবিল ফেলে যায়গা দখন করে আছে। পরে ওসিকে ফোন দিয়েও কোন কাজ হয়নি। আমরা মাঠে ঢুকতে চাইলে আমাদের বাঁধা দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, একটা সময় আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় তারা। রাম দা দিয়ে আমার এক কর্মীর পা কেটে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তার প্রায় ৭০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিবুর রহমান মহিব ফোন রিসিভ না করায় তাদের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র জানান, আওয়ামী লীগের উঠান বৈঠক চলছিল। সেখানে বিএনপির লোকজন গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এই সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং তাৎক্ষণিকভাবে ৮ জনকে আটক করেছি।

Bootstrap Image Preview