চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে বেশিরভাগ রোগীই কম-বেশি মিথ্যা বলে থাকেন। যেমন, চিকিৎসক যদি জিজ্ঞাসা করেন, নিয়মিত ওষুধ খেয়েছেন কি না বা যে খাবারগুলো নিষেধ করেছিলেন তা মেনেছেন কি না, তা হলেই অনেকে ঘাবড়ে যান। নিয়ম মেনে না চলে থাকলে মিথ্যা বলাই শ্রেয় মনে করেন রোগীরা।
তবে চিকিৎসকের সামনে গিয়ে হুট করেই বা কেন ঘাবড়ে গিয়ে মিথ্যা বলতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব উতাহ হেলথ ও মিডিলসেক্স কমিউনিটি কলেজের একদল গবেষক। তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে, ঠিক কোন কারণে এ রকম মিথ্যে কথা বলেন রোগীরা। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক মিথ্যা বলার তিনটি কারণ...
১. চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে একমত হতে না পারলেই চিকিৎসকে মিথ্যে বলার প্রবণতা তৈরি হয় রোগীর মধ্যে।
২. অনেক চিকিৎসককে পুনরায় প্রশ্ন করলে রেগে যান, তাই সেই বিষয়ে বেশি জিজ্ঞসাও করতে চান না রোগী। তখন চিকিৎসকের কাছে মিথ্যে বলে বিষয়টি পাশ কাটিয়ে চলে যান।
৩. উনি কী ভাববেন, এই ভয়েই অনেক রোগী আবার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সত্যি কথা চেপে যান। কারণ এর পরে যদি চিকিৎসক তার বদভ্যাস বদলানোর জন্য লেকচার দেন! এই আশঙ্কাই তাড়া করে রোগীকে।
তবে একই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এই মিথ্যে কথা বলার কারণেই অনেক সময়ে ভুল চিকিৎসার শিকার হন রোগীরা। কারণ নির্দেশ মতো খাবার বা ওষুধ না খেয়ে এবং মিথ্যে কথা বলে চিকিৎসককে বিভ্রান্ত করার ফলে অনেক সময়েই সঠিক চিকিৎসা হয় না রোগীর।