বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, আমাদের দক্ষ কর্মী তৈরির পাশাপাশি উদ্যোক্তাও তৈরি করতে হবে। সেই সাথে তৈরি করতে হবে সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব। আমরা সেই প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) এর পঞ্চম ডিগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান আরও বলেন, বাংলাদেশ এমন একটা অবস্থা থেকে যাত্রা শুরু করেছে যার ভবিষ্যৎ কেউ দেখতে পারেনি। এখন খয়রাতির চাল আমাদের খেতে হয় না। আমরা মানুষের মুখে অন্তত দুই বেলা ডাল-ভাত জোগাড় দিতে পারি। এসব সম্ভব হয়েছে কৃষকদের দেশ প্রেমের কারণে। দেশ প্রেম ৯০% হতে পারে না। দেশ প্রেম হয় শতভাগ।
বাংলাদেশে বর্তমানে খাদ্য উৎপাদন চারগুন বেড়েছে। সম্প্রতি দশলাখ টন করে দুই-তিন কিস্তিতে দুইটা দেশকে রিলিফ দিয়েছে। রিলিফ গ্রহণকারী থেকে প্রদানকারীতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘পেটে ভাত না থাকলে এমবিএ, আইবিএ যে ডিগ্রী নেন না কেন কোন লাভ হবে না। দেশে যত বড় বড় নায়ক থাকুক না কেন। প্রধান নায়ক হচ্ছে কৃষক। এটাই বাস্তবতা’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক এম শাহ্ নওয়াজ আলী বলেন, আগামীর বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে এ ইনস্টিটিউটি নেতৃত্ব দিবে। তরুণ সমাজকে নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য গ্রাজুয়েটদের জ্ঞান সহায়ক ভুমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে শামসুদ্দোহা।
রাবি ভিসি ড. এম আব্দুস সোবহান গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, আজকে যে ডিগ্রি নিলেন সেটি খুব একটা বড় বিষয় না। আপনি শিক্ষিত কিনা তা বুঝা যাবে কতটা পরিশিলিত, কতটা পরিমার্জিত, কতটা দেশ প্রেমিক তার উপর। আর যে জাতির মধ্যে দেশ প্রেম নেই সে জাতি কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। সকলকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ। এ বছর ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট এর ৪৪০ জন শিক্ষার্থীকে গ্রাজুয়েট সনদপত্র প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে থেকে ১২ জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।