সৌদি আরবের কর্মরত ভারতীয় নাগরিক মিডো শিরিয়ান। জীবনের ৩৫ বছর তিনি সেখানে কাটিয়েছে। এবার তার বিদায়বেলা। আর তাকে বিদায় জানাতে জাঁকজমক এক আয়োজন করল অল শেমরি নামে একটি পরিবার।
রীতিমতো লাইনে দাঁড়িয়ে কর্মচারী মিডোকে আলিঙ্গন করল পরিবারটির ছোট-বড় সবাই। প্রত্যেকেই তার জন্য নিয়ে এলো উপহারসামগ্রী। আবেগে আপ্লুত হয়ে চোখ ভেজালেন তারা।
গত ৩০ নভেম্বর ছবিসহ এ ঘটনাটি টুইটারে শেয়ার করেন ইয়াসির আল নাজিহ নামে হেইল শহরের এক অধিবাসী।
জানা গেছে, ৩৫ বছর সেই পরিবারের কাছেই ছিলেন মিডো। সৌদি আরবের উত্তর প্রান্তের শহর হেইল আর অল-জউফের পাহাড়ি এলাকায় অল শেমরি পরিবারের একটি গেস্ট হাউস রয়েছে।সেখানেই কাজ করতেন মিডো শিরিয়ান।
আশির দশকে ভারত থেকে জীবিকার উদ্দেশে সৌদি আরব পাড়ি জমান মিডো শিরিয়ান। প্রথম থেকেই ওই পরিবারের কাজে নিযুক্ত হন তিনি। গেস্ট হাউসে আসা পর্যটকদের খাবার পরিবেশনসহ তাদের দেখাশোনার কাজ করতেন মিডো।
এভাবে সততা ও বিশ্বস্ততা দিয়ে সৌদির অল শেমরি পরিবারের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে মিডোর। সে কথা ওই পরিবারের সবার মুখে মুখে।
মিডো সম্পর্কে অল শেমরি পরিবারের কর্তা আওয়াদ অল শেমরি জানান, ওর সততা, ঔদার্য ও আনুগত্যে আমরা মুগ্ধ। এ সময় তিনি বলেন, মিডোকে ছাড়া কীভাবে আমরা চলব সে বিষয়ে চিন্তিত আছি। এই ৩৫ বছরে মিডো একদিনের জন্যও কোনো অসুবিধা বুঝতে দেয়নি পরিবারটিকে।
তবু মিডোকে বিদায় জানাতেই হবে তাদের। শারীরিক অসুস্থতার কারণে জন্মভূমি ভারতে একেবারে ফিরে আসতে চাইছেন মিডো।আর সে কারণেই এমন আয়োজন করে মিডোকে বিদায় জানিয়ে সম্মান দেখাল সৌদি পরিবারটি।
বিদায় জানানোর মুহূর্তে মোটা অঙ্কের টাকা মিডোর হাতে তুলে দেন আওয়াদ অল শেমরি। শুধু এটিই নয়, ভারতে বসে জীবদ্দশায় মিডো মাসিক পেনশনও পাবে বলে জানায় ওই পরিবার।