খুরশিদ আলম, রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ
মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস আসলেই ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার ইতিহাস সমৃদ্ধ খুনিয়া দিঘী স্মৃৃতিসৌধ চলে ঘোষা-মাজা করে পরিস্কার করার কাজ। তাও আবার সেই ঘোষা-মাজার কাজ হয় নামকাওয়াস্তের।
চলছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। তাই ১৬ ডিসেম্বরে মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলার একমাত্র সংরক্ষিত খুনিয়া দিঘী স্মৃতি সৌধ চলছে ঘোষ-মাজা করে পরিস্কার করার কাজ। যদিও বছরজুড়ে এ খুনিয়া দিঘীর আর কোন কদর থাকে না। খুনিয়া দিঘীটি ময়লা আর্বজনাসহ নাজেহাল হয়ে থাকে। এ ছাড়াও মাদকসেবীদের আড্ডাখানা হওয়ার ফলে স্মৃতিসৌধজুড়ে পড়ে থাকে ফেনসিডিলের সেবনকৃত খালি বোতল।
উপজেলা পরিষদ হতে উত্তর দিকে থানা সড়ক দিয়ে প্রায় আফ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত খুনিয়া দিঘী স্মৃতিসৌধ চত্বরে সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন রং মিস্ত্রিকে। খুনিয়া দিঘী স্মৃতি সৌধের চারপাশে ঘেরা ইটের প্রাচীর ঘোষা-মাজা করছে তারা। আবার বস্তা থেকে চুন বের করে তা পানি দিয়ে গুলিয়ে নিচ্ছে। কেউ আবার নামকাওয়াস্তে ঘোষা মাজা করে ময়লারত অবস্থায় রং লাগানো শুরু করেছে।
আরো দেখা যায়, স্মৃতিসৌধটি ঘিরে প্রাচীরের উপরে সৌন্দর্যপূর্ণ গ্রীলগুলো নাজেহাল অবস্থায়, প্রাচীজুড়ে প্রায় ৫১টি লোহার গ্রীল লাগানো হলেও নিরাপত্তার অভাবে ৪টি গ্রীল প্রাচীর থেকে নেই। এ ছাড়াও ৮টি গ্রীলের অর্ধেক নেই বাকী গ্রীলগুলোর মাঝখানের লোহাগুলো নেই।
স্থানীয়রা ধারণা করে বলেছেন- এগুলো চুরি করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ বহু লোকের রাত বেরাত এখানে অবাধে চলাফেরা হয়। প্রশাসনের সঠিক নজরদারীর অভাবে এমনটি ঘটছে বলে অভিযোগ অনেকের।
মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান ও হবিবর রহমান এ প্রতিবেদক উপস্থিত হওয়ার কিছু সময় পড়ে উপস্থিত হয় স্মৃতিসৌধে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসনের সন্নিকটে অবস্থিত স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভটি জাতীয় দিবস ছাড়া কেউ নজর রাখে না। বছরজুড়ে নাজেহাল হয়ে পড়ে থাকে।
তারা বলেন, নতুন প্রজন্মরা মাঝে মাঝে আসে খুনিয়া দিঘী স্মৃতিসৌধ দেখতে তারা গিয়ে আমাদের অভিযোগ করে যারা দেশের জন্য প্রাণ দিলো তাদের স্মৃতিটুকু এমন ময়লা আর্বজনা আর অবহেলায় রাখা হয়েছে। তাহলে তাদের প্রাণ দানের সন্মন কি এই? আমরা তার সঠিক উত্তর দিতে পারি না।