তিন হাজার বছর আগের পুরনো এমন একটি সমাধিক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে মিশরে। এই সমাধি ক্ষেত্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আটটি মমি। চুনে আবৃত আটটি ভিন্ন কফিনের মধ্যে সংরক্ষণ করা হয়েছিল এসব মমি। মানুষের আকৃতির এসব কফিনের গায়ে আঁকা রয়েছে বিভিন্ন চিত্রকর্ম।
মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী কায়রোর ঠিক বাইরে গিজা মালভূমির বিশ্বখ্যাত পিরামিডগুলোর কাছাকাছিই অবস্থিত এই নব আবিষ্কৃত সমাধিক্ষেত্রটি। গিজার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বিশাল সমাধি অঞ্চলের বাইরের দিকে পাওয়া গেছে এই সমাধিটি। এই এলাকা মূলত প্রাচীন মিশরীয় সাম্রাজ্যের সমাধিস্থল হিসেবে পরিচিত। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩২ থেকে ৩২ সালের কোনো এক সময়ে এই মমিগুলোকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আবিষ্কৃত মমিগুলোর মধ্যে তিনটি বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে। মমিগুলোকে উদ্ধার করে দাসুরের জাদুঘরে রাখা হয়েছে। মমির ছবি এবং মমি উদ্ধার অভিযানের নানা ছবি নিয়ে শীঘ্রই হুরঘাদা এবং সারম এল-শেখ জাদুঘরে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের পর থেকে মিশরের পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়েছিল। এরপর থেকেই দেশটির ঐতিহাসিক স্থাপত্য, শিল্পকর্মসহ নানা ধরনের দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালের পর থেকে দেশটির পর্যটন শিল্পে প্রভূত অগ্রগতি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আবিষ্কৃত মমি এবং সমাধিক্ষেত্র সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রদর্শনীর মতো নানা উদ্যোগ নিয়েছে মিশর।