Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শীতের আগমনে হিলিতে পিঠা বিক্রির ধুম

সোহেল রানা, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:১১ PM
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:১১ PM

bdmorning Image Preview


উত্তরের জনপদ দিনাজপুরসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে অকেটাই শীতের প্রকোপ শুরু হয়েছে। সকালটা ঘন কুয়াশার মাঝ দিয়ে শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের প্রকোপ। আবার বিকেল গড়লেই যেন শরীরে এসে ওকি দেয় অগ্রহায়ন মাসের শীত।

শীতে গ্রামের মানুষের মজার খাবার হলো ভাবা পিঠা, চিতই পিঠা, রস মালাই। কালেরক্রমে এসব পিঠা উৎসব গ্রাম অঞ্চলগুলো থেকে উঠেই গেছে। এসময় গ্রামগুলোতে গোলায় ধানও উঠতে শুরু করেছে। শীতের সকালে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে বসে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। এসব দোকানগুলোতে দেখা যায় পিঠা প্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়।

শীতের সকালে ভাপা পিঠা এবং বিকেলে চিতই পিঠা খেতে পিঠা প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে এসব পিঠার দোকান। এখন আগের মতো বাসা-বাড়িতে এসব পিঠার আয়োজন না থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। পিঠার দোকানে ভীড় করছেন ধনী-গরীবসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ।

পিঠা প্রেমী সামিউল ইসলাম আরিফ বলেন, কোনো ঝামেলা ছাড়াই হাতের নাগালে আমরা ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা পাচ্ছি। দাম কম আবার খেতেও খুব সুস্বাদু। তাই আমি আর আমার বন্ধুরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় ও সকালে পিঠা খেতে আসি।

ছাতনী চারমাথা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুদ বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় একটা করে ভাপা পিঠা খাই। আমি আমাদের পাঠ্যবইয়ে পড়েছি ভাপা পিঠা, চিতই পিঠার নাম কিন্তু বাসাতে কখনো মা এসব পিঠা তৈরি করেনি তো তাই খাই নি ও দেখিও নি। এখন বাজারে পিঠার দোকানে এসে দেখলেই লোভ সামলাতে পারি না তাই পিঠা খায়।

পিঠা খেতে আসা আজিজ বলেন, আগের মত বাসায় বাসায় আর পিঠা তৈরি উৎসব হয় না। বাজারে পিঠার দোকান দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না তাই একটি পিঠা খেলাম। তবে সেই আগের স্বাদ এখন আর পিঠা-পুলিতে নেই।


পিঠা বিক্রেতা রেহেনা বেগম জানান, সকালে কদর বেড়েছে গরম গরম ভাপা পিঠার আর সন্ধ্যায় বেড়েছে চিতই পিঠার। আমার দোকানে বিক্রি বেশ ভাল হচ্ছে। তবে অন্যান্য পিঠা তৈরিতে কিছু ঝামেলা থাকায় এবং চাহিদা কিছুটা কম থাকায়, ভাপা পিঠা এক প্রকার বেশি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার পিঠা বিক্রি করে থাকি। যা পিঠা তৈরির উপকরনসহ অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ হচ্ছে আমার।


 

Bootstrap Image Preview