একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনের আপিলের শুনানি আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের দশম তলায় স্থাপিত এজলাসে আপিলের শুনানি শুরু হয়।
প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন যারা-
মোর্শেদ মিল্টন : বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোর্শেদ মিল্টনের মনোনয়ন আপিলে মঞ্জুর করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার ইসিতে মনোনয়নের আপিল-নিষ্পত্তির শুনানি শেষে তার মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দেয় ইসি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মিল্টন
গোলাম মাওলা রনি: আপিলে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানি শেষে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এর আগে, গত রবিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার। প্রার্থীতা ফিরে পেতে পরে তিনি ইসিতে আপিল করেন।
তমিজ উদ্দিন : ঢাকা-২০ আসনে বিএনপির প্রার্থী তমিজ উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার ইসিতে মনোনয়নের আপিল-নিষ্পত্তির শুনানি নিয়ে এ ঘোষণা দেয় ইসি।
মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান : কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে জামালপুর-৪ আসনে মো. ফরিদুল কবির তালুকদার (শামীম) ও পটুয়াখালী-৩ আসনে মোহাম্মদ শাহজাহানের। প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন পটুয়াখালী-১ আসনের মো. সুমন সন্যামতও।
মাদারীপুর-১ আসনের জহিরুল ইসলাম মিন্টু এবং সিলেট-৩ আসনের আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীও আপিল করে ভোটের ময়দানে লড়াইয়ের যোগ্য হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের পুনঃতফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৯ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এরপর গত রবিবার মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। এদিন নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জমা দেওয়া তিন হাজার ৬৫ মনোনয়নপত্রের মধ্যে ৭৮৬টি বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। যাদের মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীও রয়েছেন।
গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত আপিল গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। তিন দিনে ৫৪৩ জন আপিল করেছেন। প্রথম দিনে ৮৪, দ্বিতীয় দিনে ২৩৭ ও তৃতীয় দিনে ২২২টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা পড়ে।
আজ ১ থেকে ১৬০ পর্যন্ত ক্রমিক নম্বরের আবেদন শুনানি হবে। শুক্রবার ১৬১ থেকে ৩১০ পর্যন্ত এবং শনিবার ৩১১ ক্রমিক নম্বর থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত আবেদনের আপিল শুনানি গ্রহণ করবে কমিশন। প্রতিটি আবেদনের আপিল শুনানি শেষে সঙ্গে সঙ্গেই রায় জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি উচ্চ আদালতে কমিশনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে চান, তাহলে তাঁকে রায়ের নকল কপি দিয়ে দেওয়া হবে।