অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আশাবাদী চীন। ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারবে- এমন আত্মবিশ্বাসও প্রকাশ করেছে বেইজিং। এ নিয়ে তাদের মধ্যস্থতাকারীরা খুব দ্রুতই কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নতুন করে হুশিয়ারির পরেও বুধবার এ কথা জানিয়েছে চীন।
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির সঙ্গে ‘সত্যিকার একটি চুক্তি’ চান বলে জানিয়েছেন আরেক বৃহত্তর অর্থনীতির দেশের প্রধান ট্রাম্প।
গত সপ্তাহে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে জি-২০ সম্মেলনে বহুল কাঙ্ক্ষিত এক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধ সাময়িক বিরতিতে সম্মত হন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ট্রাম্প। শর্ত দেয়া হয়, চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্কারোপ এড়াতে ৯০ দিনের মধ্যে একটা চুক্তিতে পৌঁছতে হবে।
তবে মুখে ৯০ দিনের কথা বললেও বাস্তবে আরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বুধবার এএফপি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
বাণিজ্য যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার কয়েক দিন পর মঙ্গলবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, চীনের সঙ্গে আলোচনা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যেই এ কাজ শেষ করবে তারা। তিনি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে একটা সত্যিকার চুক্তি হতে যাচ্ছে আমাদের। নতুবা আদৌ কোনো চুক্তি নয়।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে এক বিবৃতিতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাকে ‘সফল’ দাবি করে চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, নতুন চুক্তিতে পৌঁছানোর আত্মবিশ্বাসী তারা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট যে সব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সে সব বিষয় নিয়ে শিগগিরই আলোচনা শুরু করবে মধ্যস্থতাকারীরা।
আলোচনা শুরুর পর ভাবা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থায় স্বস্তি আসবে। এসেছিলও। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অবস্থা বদলে গেল।