একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে আন্তর্জাতিক ত্রিকেটে সক্রিয় থাকাকালীন কেনো রাজনীতিতে যোগ দিলেন তা নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যা নিয়ে মাশরাফিকেও বিভিন্ন বাজে ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে কেন নির্বাচনে এসেছেন তার নানা ব্যাখ্যা দিলেন টাইগার অধিনায়ক।
৯ ডিসেম্বর থেকে ওয়স্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবেন মাশরাফি। সিরিজ চলাকালীন সময়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে পারে সেটির জন্যই আগে ভাগেই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রাখলেন তিনি।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘প্রথমত যদি ওয়ার্ল্ড কাপ পর্যন্ত ধরেন, আমি যেটা চিন্তা করেছি, আর সাত থেকে আট মাস বাকি আছে। বিশ্বকাপের পর আমার ক্যারিয়ার যদি শেষ হয়, পরবর্তী সাড়ে চার বছরে কি হবে আমি জানি না। আর আমার একটা সুযোগ আসছে, যেটা আমি উপভোগ করি সবসময়, মানুষের সেবা করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা সুযোগ দিয়েছেন। আপনারা জানেন যে আমার একটা ফাউন্ডেশন আছে, আমার এলাকার জন্য কিছু কাজ করার। আমার মনে হয় এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ, তাদের জন্য কাজ করার।’
মানুষের জন্য কাজ করার উদ্দেশ্য রাজনীতিতে এসঝেন বলে জানান মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ার অবশ্যই শেষের দিকে। না আমি শচীন টেন্ডুলকার, না আমি ম্যাকগ্রা যে আমার কথা মানুষ স্মরণ রাখবে। আমি আমার মতো করেই ক্রিকেটটা খেলেছি। আমার সংগ্রামী জীবনে যতোটুক পেরেছি খেলেছি। তবে আমি সবসময় উপভোগ করেছি মানুষের জন্য কাজ করতে পারা। এটা আমার ছোটবেলার শখ ছিল বলতে পারেন। যেই সুযোগটা আমি বললাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৯ ডিসেম্বর প্রথম ওয়ানডে। এরপর ১১ ও ১৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে। তাই গেল ক’দিন ধরেই মাশরাফি ওয়ানডে সিরিজের জন্য নিজেকে তৈরি করছেন। অন্য প্রার্থীদের মতো তাই নামতে পারেননি প্রচারণাতে। তবে সিরিজ শেষ করেই নির্বাচলে প্রচার প্রচারনার কাজ শুরু করবেন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নড়াইল-২ আসনে নির্বাচন করবেন মাশরাফি।