Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কোটাপদ্ধতি বাতিল করেছি ঠিকই, কিন্তু একটা নীতিমালা আমরা তৈরি করছি: প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:১৮ PM
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:১৮ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, অনগ্রসর জাতির মানুষ যেন চাকরির অধিকার পায় সেজন্য সরকার একটি নীতিমালা তৈরি করছে।

সোমবার আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবে বারবার কিছুদিন পরপরই আন্দোলন হয়। সেজন্য আমরা কোটাপদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছি এটা ঠিক তবে একটা নীতিমালা আমরা তৈরি করছি।

তিনি জানান, এ (নীতিমালায়) অবশ্যই প্রতিবন্ধী, নৃ-গোষ্ঠী বা অনগ্রসর জাতি, তাদের সকলের যেন একটা অধিকার থাকে। তারা যেন যথাযথভাবে চাকরি পায় এবং চাকরিতে যেন তাদের একটা অধিকার দেওয়া হয়, জায়গা করে দেওয়া হয় সেই ব্যবস্থাটা অবশ্যই করা হবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি, নিউরো ডেভেলাপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩, অটিজমে আক্রান্তদের জন্য আইন পাস করেছি। তাছাড়া সর্বক্ষেত্রে আমাদের নির্দেশ হচ্ছে যত স্থাপনা হবে প্রতিটি জায়গায় প্রতিবন্ধীদের যাতায়াতের যেন সুযোগ থাকে। যত প্ল্যান করা হবে সেখানে প্রতিবন্ধীদের জন্য যেন বিশেষ ব্যবস্থা থাকে।

তিনি আরো জানান, আমরা প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা দিচ্ছি। প্রায় ১৬ লাখের উপরে প্রতিবন্ধী আমাদের দেশে আছে। এরই মধ্যে আমরা প্রতিবন্ধীদের জন্য যেমন ভাতা দিচ্ছি পাশাপাশি যারা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তাদেরকেও বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৭৫০ টাকা এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৮৫০ টাকা আর উচ্চতর স্তরে যে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছেন তাদের ১২০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ২ কোটি ৪ লাখ শিক্ষার্থীকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।”

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের বিনামূল্যে ব্রেইল বই দেওয়া হচ্ছে। জুলাই মাস থেকে প্রতিবন্ধীদের ভাতা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে দেওয়া হবে। যারা প্রতিবন্ধীদের দেখাশোনা করেন, তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে জনগনকে সচেতন করা হবে বলেও জানান তিনি।   

এক সময় প্রতিবন্ধী যারা, তাদের অবহেলা করা হত, মানুষ দূর দূর করত, মানুষ হিসেবে গণ্য করা হত না। তাদেরকে যেন আমরা অবহেলা না করি, তাদেরকে যেন সমাজেরই একটা অংশ হিসেবে আমরা পাই। মানুষ হিসেবে তাদের যেই অধিকার সেটা যেন তাদের দিতে পারি। তাদের ভেতরেও যে শক্তি আছে, মেধা আছে সেটা যেন কাজে লাগাতে পারি।

অনুষ্ঠানে এক প্রতিবন্ধী নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজের তৈরি করা একটা ছোট নৌকা উপহার দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এখানে আমাদের এক বোন। তার দুটো হাত নেই। পা দিয়ে সে একটা নৌকা তৈরি করে আমাকে উপহার দিয়ে গেল। কাজেই হাত না থাকার পরও তার যেই মেধা শক্তি, পা দিয়ে এই জিনিসটা তৈরি করেছে। তাদের তো অবহেলা করার সুযোগ নেই।

Bootstrap Image Preview