Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এবার ভোটযুদ্ধে নেই জিয়া পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:৪৭ PM
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:০৬ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন ৩টি আসন থেকে। নানা কারণে ৩টিতেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচনী কর্মকর্তাগণ। দলটির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর।

৭ নভেম্বর এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন তিনি। তারপর ১৯৮১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। নানা কাজে আলোচিত ও সমালোচিতও হন তিনি।

তার হত্যাকাণ্ডের পর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে জড়ান।

১৯৯১ সালে হন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৬ সালে একতরফা নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় থেকে যান কয়েকদিন। তারপর রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের ফলে পদত্যাগ করেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে সাজা খাটছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার ভোটযুদ্ধে নেই।

 

জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াজিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াপ্রায় এক যুগ রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে বিএনপি। ১০ বছর পর জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে দলটি। এবারের নির্বাচনে দলটি অংশ নিলেও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বর্তমান চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া পরিবারের কেউ নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই। মামলা, কারাদণ্ড ও পলাতক থাকার সমস্যার কারণে এবার জিয়া পরিবারহীন নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো ভোটে অংশ নেয় বিএনপি। ওই নির্বাচনে খালেদা জিয়া ও তাঁর ভাই সাঈদ ইস্কান্দার ভোটে অংশ নেন। এরপর প্রতিটি নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোটে অংশ নিয়ে একাধিক আসনে জয়লাভ করেন। ভোটে প্রার্থী না হলেও বিভিন্ন সময় খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যরা ভোটে মাঠে ছিলেন। ২০০১–এর নির্বাচনে দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন পরিচালনায় সরাসরি ভূমিকায় ছিলেন।

গতকাল ২ ডিসেম্বর ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন যাচাই–বাছাইয়ের শেষ দিন। তিনটি আসনে বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। সকালে ফেনী-১ আসন ও দুপুরে ‘জিয়া পরিবারের আসন’ হিসেবে পরিচিত বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৭ আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজার কথা উল্লেখ করে ফেনীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদ উজ জামান ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। মামলায় সাজার বিষয়টি উল্লেখ করে বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ।

জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াজিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াপ্রায় এক যুগ রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে বিএনপি। ১০ বছর পর জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে দলটি। এবারের নির্বাচনে দলটি অংশ নিলেও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বর্তমান চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া পরিবারের কেউ নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই। মামলা, কারাদণ্ড ও পলাতক থাকার সমস্যার কারণে এবার জিয়া পরিবারহীন নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো ভোটে অংশ নেয় বিএনপি। ওই নির্বাচনে খালেদা জিয়া ও তাঁর ভাই সাঈদ ইস্কান্দার ভোটে অংশ নেন। এরপর প্রতিটি নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোটে অংশ নিয়ে একাধিক আসনে জয়লাভ করেন। ভোটে প্রার্থী না হলেও বিভিন্ন সময় খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যরা ভোটে মাঠে ছিলেন। ২০০১–এর নির্বাচনে দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন পরিচালনায় সরাসরি ভূমিকায় ছিলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন যাচাই–বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল গতকাল রোববার। তিনটি আসনে বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। সকালে ফেনী-১ আসন ও দুপুরে ‘জিয়া পরিবারের আসন’ হিসেবে পরিচিত বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৭ আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজার কথা উল্লেখ করে ফেনীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদ উজ জামান ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। মামলায় সাজার বিষয়টি উল্লেখ করে বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ।

বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। তিনি এখন যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। তারেক রহমানের সহধর্মিণী জোবায়দা রহমানও বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান। শর্মিলা তাঁর দুই মেয়ে নিয়ে বিদেশেই থাকেন।

দেশব্যাপী ২৯৫টি অাসনে ৬৯৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তার মধ্যে ১৪১ জনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।

অবশ্য দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ গতকাল দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিএনপির প্রার্থী বেছে বেছে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। গতকাল বিএনপির ৮১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচনী কর্মকর্তাবৃন্দ।

২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের ছোট ভাই আহমেদ কামাল মারা যান। জিয়াউর রহমানের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে আহমেদ কামাল ছিলেন সবার ছোট এবং ভাইবোনদের মধ্যে তিনিই শুধু জীবিত ছিলেন।  সবমিলে জিয়াউর রহমানের পরিবারের কোনো সদস্য এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।

Bootstrap Image Preview