Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এবার রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:২৭ PM
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:২৭ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


পটুয়াখালী প্রতিনিধি

ঋণখেলাপির পর এবার তথ্য গোপনের উভিযোগ উঠেছে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। পটুয়াখালী বন বিভাগের দায়ের করা একটি মামলার তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই মামলায় বন বিভাগ ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৯ টাকা তার কাছে দাবি করে ২০১৭ সালে একটি মামলা করে এবং মামলায় তিনি নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছেন। ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ ও নির্ধারিত আছে।

বিষয়টি তিনি হলফনামায় উল্লেখ না করায় পটুয়াখালী টাউন কালিকাপুর এলাকার জনৈক আবুল কালাম মৃধা এ ব্যাপারে জেলা রিটার্ণিং অফিসারের কাছে রবিবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

রুহুল আমিন হাওলাদার ২৮ নভেম্বর জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে পটুয়াখালী-১ (পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি) আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মনোনয়নপত্রের ৩ (খ) কলামে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা থাকলে তার বিবরণ উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই কলামে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত ৩ মামলার বিবরণ উল্লেখ করলেও বন বিভাগের মামলা নং ১/বন/৯৩ নং সার্টিফিকেট মামলাটির তথ্য উল্লেখ করেননি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ‘বন তাপসী’ নামের পটুয়াখালী বন বিভাগের একটি লঞ্চ তিনি অবৈধভাবে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে ক্ষতি সাধন করেছেন ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৯ টাকা। তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এ ঘটনার তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে ২-১২-১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কার্যকরি ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বন মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়ে।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৫-১০-১৯৯৩ সালে তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়। দীর্ঘ ২৫ বছর ক্ষমতার অপব্যাবহার করে তিনি কোন ক্ষতিপুরন দেননি। এমনকি তিনি নিজে একবারও আদালতে হাজিরা দেননি। তার পক্ষে জনৈক নুরুল ইসলাম বশির ১৩-০২-১৮ সালে হাজিরা দেন।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পটুয়াখালীর উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রুহুল আমিন হাওলাদারের নামে বন তাপসী নামের পটুয়াখালী বন বিভাগের একটি লঞ্চ তিনি অবৈধভাবে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে আর্থিক ক্ষতি সাধন করার একটি মামলা রযেছ।

Bootstrap Image Preview