একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা ২০১৮’ ঘোষণা করেছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।’ সোমবার ৩রা ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনের সামনে ৪৫ দফা দাবি সম্বলিত ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা-২০১৮’ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইশতেহারে বিসিএস পরীক্ষার সংশোধন দাবি জানিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা বিসিএস পরীক্ষায় মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে তা ৫০ করার দাবি জানিয়েছে। সেই সাথে শিক্ষায় জিডিপির ৫ ভাগ বা জাতীয় বার্ষিক বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
তারা আরো বলেন, নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বরসহ ফল প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ১০ দিন ও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বেকারমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, শোষণ-বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজের দাবির আলোকে সকল রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যেই এ ইশতেহার ভাবনা তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা।
সকাল সাড়ে ১১ টায় ইশতেহারটি ঘোষণা করার পর ইশতেহার বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্টারসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের কাছে গিয়ে দিয়ে আসেন আন্দোলনকারীরা।
‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা ২০১৮’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, মোহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, তুহিন ফারাবী, আমিন মোল্লা, আরিফ চৌধুরী শুভ, নাজমুল হাসান সোহাগ, লুৎফুননাহার লুনা, জসিম প্রমুখ।
সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনের সামনে সকাল সাড়ে ১১ টায় ইশতেহারটি ঘোষণা করার পর ইশতেহার বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্টারসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের কাছে গিয়ে দিয়ে আসেন আন্দোলনকারীরা।
‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর আয়োজকরা জানান, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বেকারমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, শোষণ-বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজের দাবির আলোকে সকল রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যেই আমাদের এই ইশতেহার আমরা ঘোষণা করছি। আশা করি একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার এটি গুরুত্বের সাথে আমলে নিবে।ইশতেহারে থাকা উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো:
১। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার আনতে হবে
২। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করতে হবে। সকলের জন্য অভিন্ন বিয়সসীমা করতে হবে
৩। চাকরিরর আবেদনের ফি সম্পূর্ণ ফ্রি করতে হবে।
৪। শিক্ষায় জিডিপির ৫ ভাগ বা জাতীয় বার্ষিক বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দ দিতে হিবে
৫। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে
৬। প্রশ্ন ফাঁস বিরোধী সেল গঠন করতে হবে
৭। বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করতে হবে
৮। প্রতিবছর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে
৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের ১০ ভাগ গবেষণায় দিতে হবে। যার ৬ ভাব শিক্ষকদের জন্য এবং ৪ ভাগ হবে ছাত্রদের জন্য
১০। শিক্ষক নিয়োগে ৮০ ভাগ নম্বর লিখিত পরীক্ষায় এবং ২০ ভাগ নম্বর মৌখিক পরীক্ষায় রাখতে হবে।