Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আ. লীগ-বিএনপিকে নির্বাচনী ইশতেহার দিলো কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:১৮ PM
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৫:১৮ PM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা ২০১৮’ ঘোষণা করেছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।’ সোমবার ৩রা ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনের সামনে ৪৫ দফা দাবি সম্বলিত ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা-২০১৮’ ঘোষণা করা হয়েছে। বিকাল ৪টার দিকে ইশতেহারটি আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় এবং বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে দেওয়া হয়।

এই ইশতেহার দেওয়ার জন্যে কোটা সংস্কারের দুটি প্রতিনিধি দল ঢাবি আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় এবং বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে গিয়েছে বিকাল ৩টার সময়। পরে তাদের অপেক্ষা করতে বলে দুই কার্যালয় থেকেই। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৮ সদস্যদের প্রতিনিধি দল নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক হাসান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজবীল হাতে ইশতেহারটি তুলে দেন।

অন্যদিকে ১৮ সদস্যদের আরেকটি প্রতিনিধি দল নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক নুরুল্লাহ নূরু আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার জমা দেন।

বিকাল ৪.৪০ মিনিটে বিডিমর্নিংকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম-আহবায়ক নুরুল্লাহ নূরু বলেন, আমরা দীর্ঘ অপেক্ষার পর আওয়ামীলীগ কার্যারয় এবং বিএনপির কার্যালয়ে আমাদের নির্বাচনী ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা ২০১৮’  দিতে পেরেছি। আজকের মধ্যেই আমরা অন্যান্য যত রাজনৈতিক কার্যালয় আছে সবগুলোতে এটি পৌঁছে দিবো।

তার আগে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনের সামনে সকাল সাড়ে ১১ টায় ইশতেহারটি ঘোষণা করার পর ইশতেহার বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্টারসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের কাছে গিয়ে দিয়ে আসেন আন্দোলনকারীরা।

‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা ২০১৮’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, মোহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, তুহিন ফারাবী, আমিন মোল্লা, আরিফ চৌধুরী শুভ, নাজমুল হাসান সোহাগ, লুৎফুননাহার লুনা, জসিম প্রমুখ।

‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর আয়োজকরা জানান, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বেকারমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, শোষণ-বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজের দাবির আলোকে সকল রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যেই আমাদের এই ইশতেহার আমরা ঘোষণা করছি। আশা করি একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার এটি গুরুত্বের সাথে আমলে নিবে।ইশতেহারে থাকা উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো:

১। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার আনতে হবে
২। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করতে হবে। সকলের জন্য অভিন্ন বিয়সসীমা করতে হবে
৩। চাকরিরর আবেদনের ফি সম্পূর্ণ ফ্রি করতে হবে। 
৪। শিক্ষায় জিডিপির ৫ ভাগ বা জাতীয় বার্ষিক বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দ দিতে হিবে 
৫। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে
৬। প্রশ্ন ফাঁস বিরোধী সেল গঠন করতে হবে
৭। বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করতে হবে 
৮। প্রতিবছর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে
৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের ১০ ভাগ গবেষণায় দিতে হবে। যার ৬ ভাব শিক্ষকদের জন্য এবং ৪ ভাগ হবে ছাত্রদের জন্য
১০। শিক্ষক নিয়োগে ৮০ ভাগ নম্বর লিখিত পরীক্ষায় এবং ২০ ভাগ নম্বর মৌখিক পরীক্ষায় রাখতে হবে।

এছাড়াও বিসিএস পরীক্ষায় মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে তা ৫০ এবং শিক্ষায় জিডিপির ৫ ভাগ বা জাতীয় বার্ষিক বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

তারা আরো বলেন, নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বরসহ ফল প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ১০ দিন ও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করা এই ছাত্র সংগঠনটি বর্তমানে নানান সামাজিক উন্নয়ন ও ছাত্র অধিকার নিয়ে কাজ করেছে।

Bootstrap Image Preview