সৌদির হাতে নৃশংসভাবে খুন সাংবাদিক জামাল খাশোগি তার প্রকাশিত লেখায় সৌদি রাজতন্ত্র ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেও তা ছিল পরিমিত। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে ওয়াশিংটন পোস্টের এই কলাম লেখক এ ব্যাপারে কোনো রাখঢাক রাখেননি। সৌদি সরকারের ভয়ে কানাডা প্রবাসী সৌদি নাগরিক আবদুল আজিজের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে খাশোগির কথোপোকথন তো তাই বলে। আর তার এসব বার্তা সূত্র ধরে খুলতে পারে হত্যাকাণ্ডের জট।
আব্দুল আজিজকে দেয়া ওই বার্তাগুলোতে খাশোগি যুবরাজ সালমানকে কখনও ‘পশু’ আবার কখনও ‘প্যাকম্যান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সালমানের বিষয়ে খাশোগি বলেন, তিনি এমন একজন ব্যক্তি যে তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাকেই তিনি নিশ্চিহ্ন করে দেন। এমনকি ওই সব ব্যক্তি যদি তার সহযোগী কিংবা ঘনিষ্ঠ হলেও মাফ পান না।
সিএনএনের হাতে আজিজ ও খাশোগির মধ্যে আদান-প্রদান হওয়া ওইসব বার্তার মধ্যে ভয়েস রেকর্ডিং, ছবি এবং ভিডিও রয়েছে। সৌদি যুবরাজ সালমান একজন ব্যক্তিকে কতটা সমস্যায় ফেলতে পারেন বা অনেকেই কেমন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তার চিত্র পাওয়া যায় এসব বার্তায়।
গত বছরের মে মাসে সৌদির বেশ কিছু অ্যাক্টিভিস্টের বিরুদ্ধে যুবরাজ সালমান ধরপাকড় ও গ্রেফতার অভিযান শুরু করলে সেই সময় আবদুল আজিজকে দেয়া এক বার্তায় যুবরাজকে নিয়ে খাশোগি বলেন, যত লোক তার ক্ষতি করবে, তত লোককেই তিনি শেষ করে দেবেন।