প্রতারণা ও ঘুষ গ্রহণের মামলায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সারাহ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সুপারিশ করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের যথেষ্ট প্রমাণ আছে বলে পুলিশের দাবি।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কিনা সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ গঠনের সুপারিশ করেছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হলে চারবারের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু রাজনৈতিকভাবে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। তার বিরোধীরা এর সুযোগ নেবেন।
যেসব অভিযোগ
গতকাল রবিবার পুলিশ এবং ইসরাইলি সিকিউরিটিস অথরিটিস জানিয়েছে, ঘুষ গ্রহণ, প্রতারণা এবং বিশ্বাস ভঙের যথেষ্ট প্রমাণ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আছে।
পুলিশ জানায়, দৈনন্দিন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তারা হস্তক্ষেপ করেছেন। ইসরাইলের প্রধান টেলিযোগাযোগ কোম্পানি বেজেক টেলিকম ইসরাইলকে সুবিধা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। কারণ কোম্পানিটির ‘ওয়াল্লা’ নামের একটি মিডিয়া আছে। বিনিময়ে জনপ্রিয় এই মিডিয়া সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রীকে বেশি কভারেজ দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বেজেকের সিংহভাগ মালিক শাউল এলোভিচের বিরুদ্ধেও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ গঠন হতে পারে। এর আগে ইসরাইলি পত্রিকার প্রকাশককে তার সম্পর্কে ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। বিনিময়ে প্রকাশকের বিরোধীদের মোকাবেলায় সহায়তা দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। হলিউড মোগল আরনন মিলচানের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। এর বিনিময়ে নেতানিয়াহু আরননকে মার্কিন ভিসা পাইয়ে দিতে সহায়তা করেছিলেন।