Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাড়ি গাড়ি কিছুই নেই ফখরুল ও কাদেরের!

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:১৯ PM
আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:১৯ PM

bdmorning Image Preview


ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অথচ রাজধানীতে তার কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট নেই। স্ত্রীর বাড়িতেই থাকেন। অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব সাবেক ন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলামের নিজস্ব কোনো গাড়ি নেই। স্ত্রীর দেয়া গাড়ি ব্যবহার করেন তিনি। রাজনীতির দুই দলের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিই স্ত্রীর দ্বারস্থ।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জমা দেয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। হলফনামা থেকে জানা গেছে, ওবায়দুল কাদেরের সম্পদ স্ত্রীর চেয়ে বেশি। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- উত্তরায় অর্জনকালীন সময়ের ৫০ লাখ ৭৯ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি এবং পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে ৬০ শতাংশ অকৃষি জমি। ওবায়দুল কাদেরের নিজস্ব কোনো বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট নেই। স্ত্রীর অর্জনকালীন সময়ের ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের এক হাজার ৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট আছে।

বর্তমানে তার নামে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। অতীতে ১২টি মামলা দায়ের হয়েছিল। অব্যাহতিমূলে ৯টি নিষ্পত্তি এবং ৩টিতে খালাস পেয়েছেন। বাড়িভাড়া/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে বছরে আয় ১৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, পেশা (শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন, পরামর্শক ইত্যাদি) থেকে ১২ লাখ ৬০ হাজার, বই লিখে আয় চার লাখ ৮৯ হাজার ৬৫১ টাকা। ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১ টাকা। মাসিক গড় আয় দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮০৪ টাকা ২৫ পয়সা।

স্ত্রীর আয় আসে বাড়িভাড়া/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে; বছরে আয় দুই লাখ ৬৬ হাজার ৪৩৬ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় তিন লাখ ৯৩ হাজার ২৬০ টাকা, অন্যান্য আয় দেখিয়েছেন- তিন লাখ ৯৬ হাজার ৫১৯ টাকা।

ওবায়দুল কাদেরের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নিজের নগদ টাকা আছে ৫৫ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৮৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪২ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ এক কোটি ২৪ লাখ ২১ হাজার। ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। আর এক লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২৫ তোলা স্বর্ণ আছে। তিনি উপহার পাওয়া মোবাইল ব্যবহার করেন। নিজের নামে আট লাখ ৭৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র আছে।

স্ত্রীর হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা আছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ২৬ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৫৫ লাখ ৯ হাজার ৮৪৫ টাকা, ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি নেই। এক লাখ টাকা মূল্যের ২০ তোলা স্বর্ণ আছে। ১২ হাজার টাকার টিঅ্যান্ডটি ও মোবাইল আছে। আছে এক লাখ টাকার আসবাবপত্র।

অন্যদিকে স্ত্রীর ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ১৪০ টাকা দামের একটি গাড়ি দানসূত্রে ব্যবহার করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া স্ত্রীর ব্যাংক-ব্যালেন্স তার চেয়ে বেশি।

হলফনামা অনুযায়ী, ফখরুলের নগদ ৪২ লাখ ৭১ হাজার ও ব্যাংকে এক লাখ ৪৩ হাজার টাকারআন্তর্জাতিক ডেস্ক- মতো রয়েছে। তবে স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২১ লাখ ৭২ হাজার ৮৭০ টাকা রয়েছে। হলফনামায় ফখরুল তার আয়ের উৎস উল্লেখ করেন শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন ও পরামর্শক। এই চার খাত থেকে তিনি বছরে সর্বোচ্চ ছয় লাখ টাকা আয় করেন। এছাড়াও ফখরুল কৃষিখাত থেকে ৯৯ হাজার ৫০০, মার্কেটের ফার্মের শেয়ার থেকে এক লাখ ২৫ হাজার ৯৪৭, শেয়ার বাজার ও ব্যাংক আমানত থেকে এক লাখ ৪১ হাজার ১৮১ টাকা, দি মিজার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক লাখ ৬২ হাজার টাকার সম্মানী, ব্যাংকসুদ থেকে দুই হাজার ৮০৫ টাকা আয় করেন।

অতীতে ৩৮টি এবং বর্তমানে ৭টি ফৌজদারি মামলার আসামি তিনি। এর মধ্যে ১৪টি মামলার চার্জ গঠন ও শুনানি চলছে। হলফনামায় তিনি ৪৫টি মামলার কথা উল্লেখ করেন যার অধিকাংশ, নাশকতা, ভাঙচুরের হুকুম দেয়ার। ১৪টির কার্যক্রম চললেও বাকি মামলাগুলোর কার্যক্রম হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন, কয়েকটিতে অব্যাহতি পেয়েছেন।

Bootstrap Image Preview