সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারো ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ-টেটাযুদ্ধ হয়েছে।
শনিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে বালুচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি, ভাষানচর ও দোসরপাড়া গ্রামে বাউল গ্রুপ ও মোল্লা গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় এই সংঘষের্র ঘটনা ঘটে। এ সময় ১০ জন টেটাবিদ্ধ হয়েছে। পুলিশ ৪০ জনকে আটক করেছে। ২ সহস্রাধিক টেটা উদ্ধার করা হয়েছে।
সিরাজদিখান থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) কাজী মাকসুদা লিমা ও সিনিয়র এএসপি (সিরাজদিখান সার্কেল) আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ লাইনের পুলিশ ও সিরাজদিখান এবং শ্রীনগর থানার শতাধিক পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ সময় পুলিশ বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সংঘর্ষের সময় টেটাবিদ্ধ বেলাল বাউল ও কবীরসহ ১১ জন আহত হয়েছে। বেলালকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ও আটক টেটাবিদ্ধ কবীরকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ২টি দোকান ও কয়েকটি বাড়ি ভাংচুরসহ লুটপাট হয়েছে। দোসরপাড়া গ্রামে দেলোয়ারের বাড়ির ছাদ থেকে কয়েকটি ককটেল বিস্ফারণ করা হয়।
স্থানীয় মহিলারা জানান, সকালে নুরু বাউলের লোকজন মোল্লাকান্দি গ্রামে হামলা চালায় গরু লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা গরুর ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
তারা আরো জানান, ভাষান চর দোসর পাড়া গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে। এরপর মোল্লাকান্দি গ্রাম থেকে বাউল গ্রুপের আমির কসাইয়ের নেতৃত্বে একটি দল দোসরপাড়া ও ভাষানচর মীর বাড়িতে সংঘবদ্ধ হয়ে মোল্লাগ্রুপের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করে। শ্যামার দোকানসহ ২টি দোকান ও এশটি বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট করে।
এ সময় দেলোয়ারের বাড়ি থেকে ককটেল নিক্ষেপ করে। ৩/৪ টি ককটেলের শব্দ শোনা যায়। পুলিশ শুধু নাছির মোল্লা গ্রুপের লোক জনকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানান তারা।
মোল্লাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের পরীক্ষা চলছে। কারো ২টি কারো একটি পরীক্ষা হয়েছে কিন্তু আজ তারা পরীক্ষা দিতে যেতে পারেনি।
সিনিয়র এএসপি (সিরাজদিখান সার্কেল) আসাদুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সিরাজদিখান, শ্রীনগর থানা ও পুলিশ লাইনের পর্যাপ্ত পুলিশ ণিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এ ঘটনায় আহত একজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরো ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।