Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রানের পাহাড় গড়ে ব্যাট ছাড়লো বাংলাদেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:১১ PM
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:১১ PM

bdmorning Image Preview


সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে সব উইকেট হারিয়ে ৫০৮ রান করেছে বাংলাদেশ।

টাইগারদের সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ  সৌম্য সরকার (১৯), মুমিনুল(২৯), মিথুন (২৯), সাদমান(৭৬), মুশফিক(১৪),সাকিব(৮০), লিটন(৫৪), মিরাজ(১৮), মাহমুদউল্লাহ (১৩৬) ও নটআউট নাঈম হাসান(১২)।

মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিঃ সাদমান ও সাকিব না পারলেও মাহমুদউল্লাহ কিন্তু ঠিকই করে দেখালেন। ক্যারিবিয়ান বোলারদের বোকা বানিয়ে সেঞ্চুরিটা নিজের করে নিলেন। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি।

সুযোগ কাজে লাগিয়ে আউট হলেন লিটন দাসঃ মুশফিকের আঙুলের ইনজুরির কারণে কপাল খুলে যায় লিটন দাসের। হুট করে দলে এসে সুযোগের সৎব্যবাহার করলেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে লাঞ্চের আগে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি। কিন্তু সেখান থেকে স্কোর আর বেশি দীর্ঘ করতে পারলেন না। লাঞ্চের পর ব্যাটিং করতে এসে বোল্ড আউট হয়ে ফিরে যান সাজ ঘরে। ব্যাট হাতে তিনি ৫৪ রান করেন।

ফিফটি করলেন মাহমুদউল্লাহঃ প্রথম দিনের ৩১ রান হাতিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ। সঙ্গী সাকিব যখন ৮০ রান করে বিদায় নেন তখন একটু চাপেই পড়ে যান তিনি। কিন্তু সেই চাপ কাটিয়ে লিটনকে সাথে নিয়ে ক্যারিয়ারের ১৬তম ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ।

সেঞ্চুরি না করে ফিরলেন সাকিবঃ প্রথম দিনের শেষ বিকালটা মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে শেষ করেন ক্যাপ্টেন সাকিব। এরপর আজ দ্বিতীয় দিনের সকালের শুরুটাও দুর্দান্ত করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। গতকালের ৫০ রান সাথে নিয়ে  সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু রচের বলে স্লিপে ক্যাচ আউট হয়ে শেষ হয় তাঁর সেঞ্চুরির স্বপ্ন।

সাকিবের ২৪ তম হাফ- সেঞ্চুরিঃ মুশফিক বিদায়ের পর চাপের মুখে পড়ে টাইগাররা। খেলা তখন শেষ বিকারের দিকে সেই সময় ব্যাটিংয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ।সাকিবের সাথে তাল মিলিয়ে করতে ব্যাটিং করতে থাকেন। এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংয়ে তখন স্বস্তি ফেরে টিম টাইগারের ঘরে। সেই ফাঁকে ক্যাপ্টেন সাকিব তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৪তম ফিফটি।

ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন মুশফিকঃ মিথুন ও সাদমানের দ্রুত বিদায়ের পর সাকিবের সাথে ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করেন মুশফিক। কিন্তু সেই চেষ্টায় তাকে সফল হতে দিলেন না শেরমান লুইস। বোল্ড আউট করে মুশিকে পাঠিয়ে দিলেন সাজ ঘরে।মাত্র ৩৯ রানে ভেঙে যায় সাকিব ও মুশফিকের জুটি।

সেঞ্চুরি না করে ফিরলেন সাদমানঃ মিথুনের বিদায়ের পরেই সেই বিষুর বলে স্লিপে ক্যাচ আউটের ফাঁদে পড়েন সাদমান। দুর্দান্ত এই ব্যাটিংয়ের শুরুটা ধরে রাখতে পারলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটাও তুলে নিতে পারতেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। ব্যাট হাতে তিনি করেন ৭৬ রান।

ভেঙে গেল সাদমান ও মিথুনের জুটিঃ মুমিনুল ও সৌম্যর বিদায়ের পর এই মিথুনকে নিয়ে সাদমান এগিয়ে যেতে থাকেন। ক্যারিবিয়ান বোলারদের চাপে রেখে রানের স্কোর বাড়াতে থাকেন। দুই জন মিলে ৬২ রানের দুর্দান্ত এক পার্টনারশিপ উপহার দেন। কিন্তু এর পরেই বিষুর বলে ভুল শর্ট খেলতে গিয়ে বোল্ড আউট হন মিথুন। ব্যক্তিগত ২৯ রানেই থেমে যায় মিথুনের ব্যাট।

অভিষেক টেস্টে সাদমানের হাফ- সেঞ্চুরিঃ নিজের নামের মান রাখলেন সাদমান । দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের অভিষেক ম্যাচে তুলে নিলেন প্রথম ফিফটি। দুপুরের লাঞ্চের আগে যখন মুমিনুল ও সৌম্য সাজ ঘরে তখন মিথুনের সাথে জুটি গড়ে নিজের হাফ- সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।

সৌম্যর পর মুমিনুলের বিদায়ঃ সৌম্যর বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে আসেন ফর্মে থাকা মুমিনুল হক। উইকেটে থাকা সাদমানের সাথে নতুন করে জুটি গড়ার লক্ষে ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। দুই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান মিলে ৪৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। কিন্তু ক্যারিবিয়ান পেসার কেমার রচ সেই জুটি বেশি দীর্ঘ হতে দিলেন না। মুমিনুলকে ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলিয়ে দিলেন। ব্যাট হাতে মুমিনুল করেন ২৯ রান।

শুরুটা ভালো করে বিদায় নিলেন সৌম্যঃ চট্টগ্রাম  টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ঢাকা টেস্টে নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে অভিষেক সাদমানের সাথে ব্যাটিং করতে নামেন সৌম্য সরকার। সকালের শুরুতে ক্যারিবিয়ান বোলারদের প্রতিহত করে রানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হুট করেই হোপের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বসলেন।সেই ক্যাচ থেকে কোন রেহাই না পেয়ে ফিরে গেলেন সাজ ঘরে। ব্যাট হাতে সৌম্য করেছেন ১৯ রান।

এই টেস্টে একাদশে জায়গা হয়নি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের। চট্টগ্রাম টেস্টে মোস্তাফিজ দুই ইনিংস মিলে মাত্র ৪ ওভার বোলিং করেছিলেন। কোন উইকেট পাননি। রান দিয়েছিলেন ১৭।

টাইগার একাদশঃ সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিথুন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।
 

Bootstrap Image Preview