Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যা রয়েছে বিশ্বের 'শীর্ষ' ধনী সালমান এফ রহমানের সম্পত্তির তালিকায়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৩৮ AM
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:০৮ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। ২০১৭ সালের মার্চে প্রকাশিত চীনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হুরুন গ্লোবাল এই তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকা অনুযায়ী, ২ হাজার ২৫৭ জন ব্যক্তির মধ্যে তার অবস্থান ছিল ১ হাজার ৬৮৫তম।

সালমান এফ রহমান এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১ আসনে নির্বাচন করতে গত ২৭ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তিনি।

বিশ্বের ধনকুবেরদের মধ্যে স্থান করে নিলেও সালমান এফ রহমানের দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, তার কোনো ইলেকট্রনিক সামগ্রী নেই, নেই কোনো আসবাবপত্র; বৈদেশিক মুদ্রা নেই, নেই তার বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টও।

আসবাবপত্র-ইলেকট্রনিক সামগ্রী না থাকলেও ৩৪ লাখ টাকা মূল্যের যানবাহন রয়েছে সালমান এফ রহমানের। হলফনামা অনুযায়ী, তিনি ও তার স্ত্রী কোনো রকম সুদ ছাড়াই আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন কোম্পানিকে ঋণ দিয়েছেন ৩৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা।

অতীতে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়নি বলে উল্লেখ করেন সালমান এফ রহমান। যদিও ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে জিএমজি এয়ারলাইন্সে ঋণখেলাপির অভিযোগ থাকলেও সালমান এফ রহমান হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, ‘আমি একক বা যৌথভাবে আমার ওপর র্নিভরশীল কোনো সদস্য অথবা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে আমি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করি নাই।’

তবে নিজের নামে ৮৩ কোটি ৭৯ লাখ ৫৩ হাজার ৪১০ টাকার দায় দেনা আছে। আর স্ত্রীর নামে ১৩ কোটি ৫লাখ ২৭ হাজার টাকা দায়-দেনা আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তিনি বলেছেন, তার কোনো কৃষি জমি নেই। নিজ নামে ২ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার ৬৮৭ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৭০৮ টাকার অকৃষি জমি আছে।

৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৭৯ টাকার আবাসিক/বাণিজ্যিক দালান আছে নিজ নামে। স্ত্রীর নামে নেই। তবে স্ত্রীর নামে ২৫ কোটি ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৮৪৯ টাকার বিল্ডিং কন্সট্রাকশন আছে।

স্থাবর সম্পত্তির বর্ণনায় তিনি বলছেন- নিজের কাছে নগদ ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আছে। আর স্ত্রী কাছের নগদ আছে ৬০ হাজার টাকা। নিজের কাছে, স্ত্রীর কাছে কিংবা নির্ভরশীল কারো কাছেই বৈদেশিক মুদ্রা নেই। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ১২৮ টাকা নিজ নামে এবং স্ত্রীর নামে ৪৫ লাখ ৫১ হাজার ১০৯ টাকা জমা আছে।

স্ত্রীর নামে না থাকলেও নিজের নামে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার আছে ২৫০ কোটি ৮৪ লাখ ৮১ হাজার ৬৩৬ টাকার। নিজের নামে বাস, ট্রাক, মোটর গাড়ি, লঞ্চ, স্টিমার, বিমান ও মোটরসাইকেল ইত্যাদি আছে ৩৪ লাখ টাকার। স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকারাদি তার নিজের নামে আছে ১৫ লাখ ৫ হাজার টাকার আর স্ত্রীর নামে আছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার।

সালমান এফ রহমান বার্ষিক আয় হিসেবে ব্যবসা থেকে ৬ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। এছাড়া শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ডিভিডেন্ট থেকে ৪ কোটি ২৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৮ টাকা, চাকরি (সম্মানী ভাতা) থেকে ৪১ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানির বোনাস শেয়ার ও আইএফআইসি ব্যাংকের বোনাস শেয়ার বাবদ ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫০ টাকা আয় দেখিয়েছেন। তিনি ও তার স্ত্রী কোনো রকম সুদ ছাড়াই আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন কোম্পানিকে ৩৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা ঋণ দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন।

সালমান এফ রহমান ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার কাছে হেরেছেন। ২০০৬ সালে এক-এগার সরকারের সময় গ্রেফতার হন সালমান এফ রহমান। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ২০০৯ সালে তিনি ছাড়া পান।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।

Bootstrap Image Preview