বিকালে সংবাদ সম্মেলন করবেন ড. কামাল

বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে গ্রেফতার-মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। শুক্রবার রাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের  বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠকে হয়। একাদশ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্ট্যায়ারিং কমিটির এটিই প্রথম  বৈঠক। বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, কৃষক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান তালুকদার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার,  মোমিনুল ইসলাম, জাহেদ উর রহমান, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান  মো. মনসুর এবং গণস্বাস্থ্য সংস্থা কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।

বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আজ শনিবারই ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন। আমরা আশা করছি, বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।’

বৈঠকে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও নেতা ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে ‘কটূক্তি’ করছেন উল্লেখ করে এর নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কারাবন্দি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে বেআইনিভাবে আটক করে রাখা ও জামিন না দেওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানানো হয়।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে গ্রেফতারের ঘটনা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘এই নির্বাচনে গণতান্ত্রিক নেতাকর্মীরা যাতে মাঠে থাকতে না পারে, এই নির্বাচনে তারা যেন অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই পুরনো কায়দায় মিথ্যা মামলায় যাদের আসামি করা হচ্ছে। তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করছে, গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। যারা প্রার্থী তাদেরকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনের যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তার ন্যূনতম অবস্থা এখন নেই। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই। অবিলম্বে গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে, ঘরে ঘরে তল্লাশি বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অবিলম্বে তাদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’ অন্যথায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে তার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন দায়-দায়িত্ব বহন করবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।