Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বহিষ্কারের হুশিয়ারি সত্ত্বেও আ’লীগের ২ বিদ্রোহী প্রার্থী ভোটের মাঠে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:২২ PM
আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:২২ PM

bdmorning Image Preview


আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অনেকেই দল থেকে মনোনয়ন পাননি। তেমনি দুই রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ দুই নেতা চূড়ান্ত বহিষ্কারের হুশিয়ার সত্ত্বেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকতে চান।

বিদ্রোহী প্রার্থীদের এক জন হলেন- রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সদস্য ও সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক। অন্যজন হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লাহ।

জানা গেছে, তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক এবার রাজশাহী-৫ ( পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। ফারুকের বাড়ি এই আসনের দুর্গাপুরে। তিনি রাজশাহী-৫ আসনে (সাবেক আসন নং-৪) ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় টিকিটে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগের একাধীক সূত্র জানান, একাধারে কয়েকবার ইউপি ও দুর্গাপুর উপজেলা চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন ফারুক। ১৯৮৬ সালে রাজশাহী-৫ আসনে দলীয় মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

রাজশাহী-৫ আসনে এবার যে ১০ জন নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ। রাজশাহী-৫ আসনে তার নিজস্ব ভোটার রয়েছে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ফারুক গত ২৮ নভেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিদ্রোহী হলেই দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের ঘোষণা সত্ত্বেও ফারুক বিদ্রোহী হিসেবে ভোটের মাঠে থাকার বিষয়ে এখনও অনড়।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপক্ষো করে প্রার্থী হিসেবে থেকে যাওয়া প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক বলেন, তিনিই সবচেয়ে প্রবীণ নেতা। দীর্ঘ চারযুগ ধরে নানারকম চড়াই উৎরাই ও সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে দলকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু তার আসনে একজন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে এবার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ কারণে তিনি আসনটি ধরে রাখার স্বার্থেই স্বতন্ত্র হিসেবে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী-৫ আসনে এবার জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মনসুর রহমানকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এই আসনের সাবেক এমপি মেরাজ উদ্দিন মোল্লাহ।

এবারও মেরাজ উদ্দিন মোল্লাহ রাজশাহী-৩ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দল থেকে আবারও আয়েন উদ্দিনকেই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ মেরাজ উদ্দিন মোল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তাজুল ইসলাম ফারুকের মতো মেরাজ মোল্লাহও একাধারে ইউপি ও পবা উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালে এমপি হন।

এ বিষয়ে মেরাজ উদ্দিন মোল্লাহ বলেন, পবা উপজেলায় তার নিজস্ব ভোটব্যাংক রয়েছে। তা ছাড়া তিনি চান রাজশাহী-৩ আসনে স্থানীয়ভাবে কেউ এমপি নির্বাচিত হোক। এলাকার জনগণের মতামত নিয়েই তিনি শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে লড়ে যেতে চান। বহিস্কার হলেও তিনি প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন মেরাজ।

Bootstrap Image Preview