আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন ভোট কক্ষের ভেতর ভিডিও বা স্থির চিত্র ধারণ করা অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে বলে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসারদের নির্দেশনা দিতে প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে এ নির্দেশনা দিয়েছে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. কামরুল হাসান।
নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. কামরুল হাসান। এ সময় ভোটগ্রহণের দিন একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কার কী ভূমিকা হবে, ভোট সুষ্ঠু করতে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে এ বিষয়ে প্রশিক্ষকদের বিস্তারিত নির্দেশনা দেন তিনি।
ইসির অতিরিক্ত সচিব কামরুল হাসান বলেন, ভোট কক্ষে একজন ভোটার প্রবেশ করার পর প্রথমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। ভোটারের নাম সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় থাকলে ব্যালট পেপারের মুড়িতে তার আঙুলের ছাপ রেখে ভোটারকে ব্যালট পেপার সরবারহ করতে হবে। এরপর ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। গোপন কক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাসহ অন্য কারোই প্রবেশ অধিকার থাকবে না। কেবল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভোটারকে সহায়তার জন্য ভোটার তার পছন্দের একজনকে সঙ্গে রাখতে পারবেন।
কামরুল হাসান বলেন, কেউ জাল ভোট দিলে বা দেয়ার চেষ্টা করলে প্রিজাইডিং বা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের প্রথম কাজ হচ্ছে তাকে নিবৃত্ত করা। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে জাল ভোট প্রদানকারী ব্যক্তিকে দায়িত্বরত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট) ডেকে তার শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা এক স্থানে দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারবেন না। পর্যবেক্ষকরা ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রিজাইডিং অফিসাররা পর্যবেক্ষকদের সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না।