ঘরের মাঠ আর পরের মাঠ সব মিলিয়ে চলতি বছরে মোট আটটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। এই আট টেস্টে সাফল্যের ঝুড়িতে অর্জন খুবই সামান্য। তবে এই অর্জন সামান্য হলেও টেস্ট খেলোয়াড়ের তালিকা দীর্ঘ করেছে বাংলাদেশ। গড়ে প্রতিটি টেস্টে এক জন করে খেলোয়াড়ের অভিষেক করিয়েছেন। হ্যাঁ, এই আট টেস্টে টাইগার দলে অভিষেক হয়েছে আট জন খেলোয়াড়ের। তারা হলেন সানজামুল ইসলাম,নাজমুল ইসলাম অপু, আবু জায়েদ রাহী, আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিথুন, খালেদ আহমেদ, নাঈম হাসান ও সাদমান ইসলাম অনিক। সব মিলিয়ে টাইগারদের টেস্ট খেলোয়াড়ের তালিকায় এখন ৯৪ জন।
অভিষেকের এই দীর্ঘ তালিকা দেখেই বুঝা যাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটের ক্যাপ দিনে দিনে সস্তা হতে চলেছে। টেস্টে অভিষেক হওয়া খুব একটা কোঠিন নয়। কিন্তু তাতে লাভটা কি হচ্ছে?কেউ তো দলে স্থায়ী ভাবে জায়গা করে নিতে পারছেন না। দুই এক ম্যাচ খেলেই বসে থাকতে হচ্ছে টুইলেভ ম্যানের চেয়ারে।
প্রতি টেস্টে নতুন খেলোয়াড়ের ডেব্যু টাইগার ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসানেরও পছন্দ নয়, আমি সবসময় প্রেফার করি একজন প্লেয়ারের যখন ডেব্যু হয় কিংবা তাঁকে যখন খেলানো হয়, তাঁকে যেন এফাফ সুযোগ দেয়া হয়, তাঁর পটেনশিয়াল, ট্যালেন্ট প্রমান করার। যদি তারপরও সে ফেইল করে তারপরেই তাকে চেইঞ্জ করা উচিত। ঘন ঘন চেইঞ্জের পক্ষে আমিও না। আমিও মনে করি না এটা কোন ভালো মেসেজ দেয়। দিন শেষে আমরা সবসময় চাই ম্যাচ গুলো জিততে। ম্যাচ জেতার জন্যই অনেক সময় অনেক ডিসিশন নিতে হয়।
প্রতিনিয়ত খেলোয়াড়ের অভিষেকের অবশ্য একটা ভালো দিক আছে। নতুনরা নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু সেই প্রতিভা তুলে ধরার জন্য এই সকল খেলোয়াড়দের আরো সুযোগ দেওয়া উচিৎ।