কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে ব্যর্থ হওয়ার শাস্তি হিসেবে মূত্রপান ও পোকামাকড় খেতে বাধ্য করা হলো কর্মীদের। শুধু তাই নয়, কাজে দেরি করলে কখনও আবার শাস্তি হিসেবে পেতে হচ্ছে বেতের আঘাত।
বিচিত্র এ ঘটনাগুলো ঘটছে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের গুইঝাউ প্রদেশে। চীনের সংবাদমাধ্যম এশিয়া ওয়ান ডট কমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালিকপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী সময়মতো কাজ শেষ না করতে পারলে শাস্তি দেওয়ার নামে কর্মীদের উপর অমানবিক নিগ্রহ করা হয়েছে।
এ ছাড়া শাস্তি হিসেবে বেতন আটকে রাখা ছাড়াও সংস্থার হতভাগ্য কর্মীদের শৌচাগার থেকে মূত্রপান করতে এবং জ্যান্ত তেলাপোকা চিবিয়ে খেতে বাধ্য করেছে কর্তৃপক্ষ। অবাধ্য কর্মীর মাথার চুল কেটে ফেলা ও বেত দিয়ে মারধরের মতো অমানবিক কাজও হরহামেশাই ঘটছে।
সম্প্রতি দেশটির মিডিয়া অঙ্গনে এ ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জানা গেছে, সব রকম শাস্তিই অন্য কর্মীদের উপস্থিতিতে কার্যকর করা হয় ওই সংস্থায়। শুধু তাই নয়, চামড়ার জুতো না পরে কাজে এলে অথবা আনুষ্ঠানিক পোশাক না পরলেও শাস্তি দেওয়া হয়। আইন ভঙ্গকারীদের নামধাম ও অপরাধের বিবরণ সাদা কাগজের চিরকুটে লিখে রাখার চল ছিল। তাদের ৫০ ইউয়ান বা ৬০০ টাকা জরিমানা দিতে হতো।
তবে এমন অমানবিক আচরণ সত্ত্বেও বেশির ভাগ শ্রমিকই চাকরি ছাড়েননি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। অন্যদের অপমান করার কারণে সংস্থার তিন ম্যানেজারকে ১০ দিন কারাদণ্ড ভোগ করতে হয় বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, চীনে শ্রমিকদের পরিস্থিতি নিয়ে অতীতেও বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়েছে। নামমাত্র বেতনের বিনিময়ে দীর্ঘমেয়াদী কাজ করানো এবং অপ্রশস্ত বাসস্থানে থাকতে বাধ্য করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।