সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে আরব বিশ্বের প্রথম বিক্ষোভটি করেছেন তিউনিশিয়ার নাগরিকরা।
মঙ্গলবার যুবরাজ তিউনিশিয়ায় সফরে গেলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিবাদকারীরা। সৌদি যুবরাজের কাছে এ বিক্ষোভ বিরল ঘটনার মতোই। কারণ এ পর্যন্ত তাকে কখনও প্রকাশ্য সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়নি।
এ ছাড়া বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর সফরে তাকে বর্ণাঢ্য অভ্যর্থনা দেয়া হয়েছে।
২০১১ সালে আরব বসন্ত শুরু হলে সাধারণ মানুষের অভুত্থানে আরব বিশ্বের অনেক একনায়কের পতন ঘটেছে। এর পর তিউনিশিয়ায়ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটেছে।
সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের অনুমতি দেয়া একমাত্র দেশ হচ্ছে তিউনিশিয়া। তিউনিশ বিমানবন্দরে যুবরাজকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাজি কয়েদ আল ইসাবসি।
তিউনিশিয়ার টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে যুবরাজ বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে তিউনিশিয়ার দীর্ঘদিনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তিউনিশিয়া সফর না করে আমি উত্তর আফ্রিকায় আসতে পারি না। কারণ তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্টকে আমি বাবার মতো মনে করি।
সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর দিয়েছেন তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট। কিন্তু রাজপথে সৌদি আরবের সঙ্গে তিউনিশদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ নয়।
যুবরাজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভে কয়েকশ বিক্ষোভকারী মিছিল নিয়ে হাবিব বুরগিবিয়া অ্যাভিনিউয়ের দিকে যান। ২০১১ সালে দেশটির একনায়ক জয়নুল আবেদিন বিন আলীর বিরুদ্ধে এই অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভ হয়েছিল। পরে তার পতন ঘটে।
বিক্ষোভকারীরা এ সময় স্লোগান দেন- তিউনিশিয়ায় একজন খুনিকে স্বাগত জানানো হবে না। যুবরাজকে অভ্যর্থনা জানানোয় তিউনিশিয়ার শাসকদের লজ্জা হওয়া উচিত।