Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মনোনয়নের নামে বানরের পিঠা ভাগ করে তো লাভ নাই: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:১৬ PM
আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:১৬ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: বিডিমর্নিং


নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি এখন নির্বাচন বাঞ্চালের চক্রান্ত করছে। ইতিমধ্যেই তারা বুঝতে পেরেছে যে নির্বাচনে জিততে পারবেনা। সর্বশেষ ডঃ কামাল হোসেন ইসির পরিবর্তন চান। এক মাস পর নির্বাচন এর মধ্যে এই পরিবর্তন যারা চান তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান এটা বিশ্বাস করতে আমাদের কষ্ট হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বলেছিলাম আজ আমরা আমাদের প্রার্থীতা জোটবদ্ধ তালিকাটি প্রকাশ করব। কিন্তু আমি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি কৌশলগত বা টেকনিক্যাল কিছু কারণে। আমাদের প্রার্থী যাচাই-বাছাই যেদিন শেষ হবে তার পরের দিন আমরা সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় এনে আমাদের জোটের তালিকা প্রকাশ করব। আমি একটা বিষয়ে আপনাদের কাছে অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই আমরা কিন্তু আমাদের দলীয় ভাবে যে তালিকাটি করেছি সেটা গণমাধ্যমের জন্য ছিল না। আর গণমাধ্যমের অনেক তালিকার সাথে আমাদের তালিকার মিল নাই। আমরা চিঠি দিয়ে আমাদের মনোনীত প্রার্থীরকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সুযোগ দিয়েছি।  গণমাধ্যমে প্রচারিত এমন ভুল তথ্যের জন্য আমাদের বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়েছে।

তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, দয়া করে  শোনা কথায়  কান দিয়ে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে  বিভ্রান্ত ছড়াবেন না। জাতীয় পার্টি করছেন এবং যুক্তফ্রন্ট বিকল্পধারার নেতৃত্বে এবং ১৪ দল ও আমাদের যে শরীক দল আমাদের সঙ্গে আছেন সকলের ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত একটি আমরা যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রকাশ করব।  আমাদের কিছু বিবেচনার বিষয় আছে টেকনিক্যাল কিছু বিষয় আছে কাজেই আমরা সব বিচার-বিবেচনা যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে আমরা চিঠি দিয়ে মনোনয়ন দিয়েছি এবং কয়েকটি জায়গায় আমরা ডাবল নাম দিয়েছি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে একটি জরিপ করব। যে জনগণের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য তাকেই আমরা মনোনয়ন দিবো।

তিনি বলেন, আমরা ভুল প্রার্থীতা প্রকাশ করতে চাই না। একদম সবকিছু যাচাই বাছাই করে তালিকা প্রকাশ করতে চাই। যাতে করে আমাদের শরীক দলের সাথে আমাদের কোন ভুল বুঝা বুঝি না হয়। আমাদের বোঝাপরার  মাধ্যমে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা করবো।

শরীক দলের কতটি আসন ছাড় দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এই পর্যন্ত ২৩১ জনকে চিঠি দিয়েছি। আমরা শরীকদেরকে ৬৫ থেকে ৭০টি আসন ছাড় দিতে পারি। তবে এ সংখ্যা কম বেশি হতে পারে।  জাতীয় পার্টি একটি বড় শরীক দল এ কারণে তারা বেশি আসন পাবে এটাই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, এখানে মনোনয়নের নামে বানরের পিঠা ভাগ করে তো লাভ নাই। যারা যোগ্য  তারাই মনোনয়ন পাবেন। কেননা আমরা জিতার জন্য নির্বাচন করি। নির্বাচনে জিতাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

বিএনপি শেষ নির্বাচন বর্জন করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাই সকল দলের অংশগ্রহণে একটি শান্তিপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন।

বিভিন্ন প্রার্থী মনোনয়ন না পেয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। একটি পরিবারেও অনেক রকম সমস্যা হয়। আওয়ামী লীগ একটি বড় পরিবার সুতরাং এ বড় পরিবারের মধ্যে ছোটখাটো সমস্যা হতেই পারে। সবারই দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন থাকে এমপি হবে।  তাদের সমর্থকদেরও আশা থাকে তারা মনোনয়ন পাবে সুতরাং মনোনয়ন না পেলে তাদের একটু মনঃক্ষুণ্ণ হতেই পারে।

বদি ও রানার পরিবার থেকে কেন মনোনয়ন দেয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বৌদি ও রানার ব্যাপারে সাতটি জরিপ হয়েছে। যে সাতটি জরিপেই তাদের জনপ্রিয়তার প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু তাদের ব্যাপারে যেহুতু বিতর্ক আছে আমরা সে দিকটি বিবেচনা করে তাদের মনোনয়ন দেইনি।  আমরা তাদের পরিবারের যে দু,জনকে মনোনয়ন  দিয়েছি তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ নেই। তাদের পরিবারের কারো বিরুদ্ধে বিতর্কের কারণে তারা নির্বাচন করতে পারবে না এটা কেমন কথা?

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে আবু সাঈদ ফ্রন্টে যোগ দেয়ার বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। এসব নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমাদের আমাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বৈ কমেনি।

যারা মনোনয়ন পায়নি দল থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে চাই কিংবা শরীর যে যারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে চাইবে তাদের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত কি হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদ্রোহ মানে বহিষ্কার। যারা বিদ্রোহ করবে তাদের দলকে থেকে বহিষ্কার করা হবে।

আগামী নির্বাচনে যদি কেউ তার অবস্থান সুস্পষ্ট করতে পারে সে ক্ষেত্রে বহিষ্কার হলেও তাকে পুনরায় দলে ফেরানো হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পুরনো কথা পুরনো দিনের মধ্যেই থাকুক ওই সব পুরনো দিন।

Bootstrap Image Preview