ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইরাক সীমান্তে ৬.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ৬ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খরবে বলা হয় রবিবার রাতে ইরানের অন্তত সাতটি প্রদেশে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় বলে। এসব প্রদেশগুলোর মধ্যে কেরমানশাহ প্রদেশেই ভূমিকম্পটি সবচেয়ে তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে।
টেলিভিশনে কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, 'আহত লোকের সংখ্যা ৬৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। সামান্য জখম হওয়ায় এদের অধিকাংশকেই হাসপাতালে পাঠানো হয়নি।'
ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান মাহমুদ মোহাম্মদি নসব কেউ নিহত হননি বলে টেলিভিশনকে জানিয়েছেন।
টেলিভিশনে সারপোল ই জাহাব শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি দেখানো হয়েছে। গত বছর ৭.৩ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে এই শহরটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তারপর থেকেই শহরটির কিছু বাসিন্দা গৃহহীন ছিলেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার সকালে সারপোল ই জাহাবে ৫.২ ও ৪.৬ মাত্রার দুটি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। শীত সত্বেও পরাঘাতের আশঙ্কায় শহরটির অনেক বাসিন্দা রাস্তায়ই রাত কাটিয়েছেন।
ভূমিকম্পে কিছু এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে; কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত সব শহর ও গ্রামে উদ্ধাকারী দলগুলো পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
রবিবারের এই ভূমিকম্পটি কুয়েত ও ইরাকের রাজধানী বাগদাদেও অনুভূত হয়েছে। পাশাপাশি ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের ইরবিল ও অন্যান্য ইরাকি প্রদেশগুলোতেও অনুভূত হয়েছে, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ভয়াবহ ভূমিকম্পটিতে কেরমানশাহ প্রদেশই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে ইরানের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ওই ভূমিকম্পে ছয় শতাধিক লোক নিহত ও কয়েক হাজার লোক আহত হয়েছিল।
বড় ধরনের একটি ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইন ইরানের ভিতর দিয়ে চলে যাওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। ২০০৩ সালে ৬.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে দেশটির কেরমান প্রদেশে ৩১ হাজার লোক নিহত হয়েছিল ও ঐতিহাসিক শহর বাম ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।