নিহত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির দুই কন্যা প্রতিজ্ঞা করে বলেছেন, বাবার রেখে যাওয়া উত্তরাধিকার তারা টিকিয়ে রাখবেন। যে করেই হোক, বাবা যে আলো জ্বেলে ছিলেন, তা কখনও নিভতে দেবেন না।
তারা বলেন, আমাদের বাবা কোনো ভিন্নমতাবলম্বী ছিলেন না। তিনি কেবল নিজের মতামত ব্যক্ত করতেন। মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে শনিবার লেখা একটি মতামতে তারা এ প্রতিজ্ঞার কথা জানান।
দুবাইয়ে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন নোহা খাশোগি ও রাজান জামাল খাশোগি।
তারা লিখেছেন- নিজের কথাগুলো বলে ফেলা ও মতামত ব্যক্ত করা তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ জন্যই তিনি অকপট আলোচনা করেছেন।
লেখাটিতে দুই বোন নিজেদের শৈশবের কথা স্মরণ করেন। প্রতি সপ্তাহে বাবা তাদের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে নিয়ে যেতেন এবং নিজের পত্রিকাভর্তি অফিসে দুই মেয়েকে তিনি সব কিছু তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখার সুযোগ দিতেন।
বাবার মৃত্যুর পর ভার্জিনিয়ায় নিজেদের বাড়িতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন দুই মেয়ে, যা ছিল তাদের জন্য প্রচণ্ড বেদনাদায়ক।
তারা বলেন, বাসায় ফিরে বাবার খালি চেয়ার দেখা ছিল তাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ। তার অনুপস্থিতি আমাদের স্তব্ধ করে দিয়েছিল।
খাশোগির দুই মেয়ে বলেন, শৈশবে আমরা জেনেছি- আমাদের বাবা একজন পরিব্রাজক। তার কাজই তাকে সব জায়গায় নিয়ে যেত। কিন্তু সবসময়ই তিনি আমাদের কাছে ফিরে আসতেন।
‘নানা উপহার সামগ্রী নিয়ে এসে আমাদের মুগ্ধ করে দিতেন। কাজেই আমরা রাত জেগে অপেক্ষা করতাম কখন বাবা বাসায় আসেন এবং আমাদের জন্য কী নিয়ে আসেন,’ বলেন এ দুই গ্রাফিক ডিজাইনার।