Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘হেভিওয়েট’ নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিএনপি

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০১:২৭ PM
আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০১:২৭ PM

bdmorning Image Preview


প্রায় এক দশক পর একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন একাদশ জাতীয় সংসদের অপেক্ষায় দেশবাসী। নির্বাচনী পরিবেশই এখন পাল্টে গেছে।নির্বাচনে অংশ নেযার ঘোষণা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা শুরু করেছে এরই মধ্যে। ঐক্যফ্রন্টের শরিক জেএসডি ও নাগরিক ঐক্যও প্রার্থী তালিকা করে রেখেছে।গণফোরামের প্রার্থী তালিকাও প্রায় প্রস্তুত। কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগও প্রার্থী তালিকা করে রেখেছে।

বিএনপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র ২০ দলের শরিক দলগুলো তাদের প্রার্থী তালিকা দেয়ার সময় দলীয় আসনের চাহিদার কথা জানিয়ে দিয়েছে। সবমিলিয়ে বিএনপি এখন দুই জোটের শরিকদের কিভাবে সন্তুষ্ট করা যায় সেটি নিয়ে ভাবনায়।

সব মিলিয়ে আসন ভাগাভাগিতে দুটি বৃহৎ জোটের শরিকদের সন্তুষ্ট রাখা বিএনপির বড় ধরনের একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আসন বন্টন নিয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে কোনো সমস্যা হবে না। বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে সবাই ছাড় দিতে প্রস্তুত। তবে জোটের শরিকদের ছাড় দিতে গিয়ে বড় পরীক্ষায় পড়তে হবে বিএনপিকে।  বিএনপির জন্য বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে আসন বন্টনের বিষয়টি।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গত কয়েকদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দলটির স্থায়ী কমিটি। কিন্তু বেশ কয়েকটি আসনে দলের একাধিক মনোনয়প্রত্যাশী রয়েছেন।তাই ওইসব আসনে একক প্রার্থী ঠিক করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিএনপিকে।

একাধিক সূত্র মতে, বিএনপি চাইছে ২৫০ টি আসনে দলীয় প্রার্থী দিতে। বাকি ৫০ টি আসন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলকে ছেড়ে দিতে। ৫০ আসন নিয়ে সমঝোতা না হলে সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৬৫ টি আসন শরিকদের দিতে চায় বিএনপি। এর মধ্যে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ২০ দলকে ৩০ থেকে ৩৫ টি আসন দিতে চায় বিএনপি। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ২০ থেকে ২৫ টি আসনে ছাড় দিতে চাইছে দলটি।

বিএনপি সূত্র জানায়, ড. কামালের মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেনকে ঢাকা-১২ আসন (তেজগাঁও-রমনা) ছাড়তে রাজি বিএনপি। অবশ্য এ আসনে বিএনপি থেকে যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ পাঁচজন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সারা হোসেনকে ছাড় দিলে দীর্ঘদিন ধরে দলের পরীক্ষিত নেতাদের ‘কোরবানি’ দিতে হবে। তবে দলীয় নেতাদের আসনবঞ্চিত না করতে নেতারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।

শরিক দলগুলো এখন নিজেরা গোছাচ্ছে। বিএনপিও নিজেদের মধ্যে বসে প্রার্থী বাছাই করবে। যে কোনো দলই যোগ্য বা জেতার মতো প্রার্থী পেলে তাকে মনোনয়ন দিতে চাইবে।

জানা গেছে, আসন ছাড়ের ক্ষেত্রে সংখ্যা নয়, জনপ্রিয়তাকে প্রাধান্য দেবে বিএনপি। ইতিমধ্যে শরিকদের কাছ থেকে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই তালিকা ধরে বিএনপির পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে জরিপ চালানো হচ্ছে। জরিপে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আসন ছাড় দেয়া হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আসন বণ্টন নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো কিছু হয়নি। এ নিয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে কোনো সমস্যা হবে না। সবাই ছাড় দেয়ার মানসিকতা পোষণ করছেন। কারণ এ মুহূর্তে সবার লক্ষ্য দুঃশাসন থেকে মুক্তি। তাই বাস্তবতার ভিত্তিতে যোগ্য ও শক্তিশালী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার ব্যাপারে একমত হবেন।

Bootstrap Image Preview