পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচিতে চীনা মিশন লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে চীন। বিবৃতিতে নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসলামাবাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশটি।
শুক্রবারের ওই হামলা ব্যর্থ হলেও কনস্যুলেটের কাছে বন্দুকধারীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, আত্মাঘাতি হামলার ভেস্ট পরা এক অস্ত্রধারী হাতবোমা নিয়ে চীনা মিশনের দিকে এগোতে থাকলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময় ঘটে।
বেইজিংকে নিপীড়ক আখ্যা দেয়া একটি বিচ্ছিন্নবাদী গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী বলেছে, হামলার পর পরই ঘটনাস্থলকে সুরক্ষিত করা হয়েছে।
দক্ষিণ বন্দরনগরীর এই চীনা কনুস্যলেটে ঢুকতে চেয়েছিল অস্ত্রধারী। কিন্তু তল্লাশী চৌকিতেই তাকে আটকে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনার পরই এক বিবৃতিতে এর নিন্দা জানালেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং সুয়াং।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন তাদের কূটনৈতিক মিশনের বিরুদ্ধে যে কোনো সহিংস হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং পাকিস্তানকে তাদের দেশের চীনা নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছে।
গেং জানান, তিন ব্যক্তি কনস্যুলেটে ঢুকে পড়তে চেয়েছিল। পাকিস্তানের পুলিশ পরে তাদেরকে হত্যা করে। এতে কনস্যুলেটের কর্মীরা রক্ষা পেয়েছেন।
তবে হামলায় নিহত দুই পাকিস্তানি পুলিশের জন্য সমবেদনাও প্রকাশ করেন গেং।
হামলার দায় স্বীকার করা বেলুচিস্তানের চীনা বিনিয়োগবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে চীনা মুখপাত্র বলেন, আমি যতটুকু জানি, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কার্যালয় থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি ঘটনার পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এর পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন।
এ হামলা চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত সহযোগিতা ক্ষুন্ন করারই ষড়যন্ত্র; তবে এমন ঘটনা চীন-পাকিস্তান সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
পাকিস্তানে শত শত কোটি ডলারের বিনিয়োগ করে আসছে চীন। ছয় হাজার কোটি ডলার ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে চীন-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডর।