Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক, মেয়েকে হত্যা করল মা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:০৪ PM
আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:০৪ PM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালীর সোনাপুর ডিগ্রি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে অনার্স পড়ুয়া তাবাসসুম তানিয়ার (২২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার এক হিন্দু সম্প্রদায়ের সহপাঠির। এ কারণেই তানিয়ার মা মেয়েকে হত্যা করে রাতের আধাঁরে লাশ বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে রাখেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

পুলিশ জানায়, গত ১১ নভেম্বর নোয়াখালী পৌরবাজার সংলগ্ন এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে ১৫ নভেম্বর বাড়ির পাশের ডোবা থেকে তানিয়ার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে সুধারাম থানা পুলিশ। ওই দিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানিয়ার বন্ধু তাপসকে আটক করে পুলিশ। পরে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ইলিয়াছ শরীফের নির্দেশে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)। পরে বৃহস্পতিবার রাতে ডিবির ওসি আবুল খায়ের তানিয়ার মা সাজেদা আক্তার নিপু (৫৫),  বোন চাঁদনি (১৯) ও মামা সোহেলকে পৌরসভার বাড়ি থেকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকণ্ডের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। 

এদিকে আটক চাঁদনিকে শুক্রবার নোয়াখালী বিচারিক আদালত-২ এ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সোহেব উদ্দিন খাঁনের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। 

যে কারণে হত্যা করা হয় তানিয়াকে:

পুলিশ জানায়, নোয়াখালীর সোনাপুর ডিগ্রি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী তাবাস্সুম তানিয়া সহপাঠি হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলে তাপসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জাড়িয়ে পড়েন। তানিয়ার মা ঢাকা থেকে নোয়াখালীতে বাসায় ফেরার তাকে তার অনুপস্থিতিতে তাপস-তানিয়ার ঘনিষ্ট সম্পর্কের কথা বলে দেন চাঁদনী। এতে তার মা ক্ষিপ্ত হয়ে তানিয়াকে এলোপাথাড়ি মারধর ও লাথি মারেন। এ সময় তানিয়া অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে মা, মামা ও বোন মিলে গলায় ওরনা পেঁচিয়ে তানিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গভীর রাতে লাশ বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দেন। পরে থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তানিয়ার মা।। 

ওসি (ডিবি) আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানিয়ার মা ও বোন হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের বোনকে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে। মা ও মামাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। 

স্থানীয়রা জানান, তানিয়ার বাবা শাহাজাদা ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকায় থাকেন। ৮-১০ দিন আগে সাজেদা আক্তার নিপু মেয়ে তানিয়া ও চাঁদনিকে বাসায় রেখে ঢাকায় যান। গত ১১ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের দিন তানিয়ার মা উপকূল এক্সপ্রেস যোগে মাইজদী ফেরেন। ফিরে তিনি তানিয়া তাকে মাইজদী কোর্ট রেলস্টেশনে এগিয়ে আনতে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছেন জানিয়ে থানায় জিডি করেন। পরে ১৫ নভেম্বর দুপুরে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় তানিয়ার অর্ধগলিত লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

Bootstrap Image Preview