Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অভিষিক্ত নাইম ও সাকিবের ঘূর্ণিতে ২৪৬ রানে থামলো ক্যারিবিয়ানরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৪১ PM
আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:১৩ AM

bdmorning Image Preview


চট্টগ্রামের জহুর আহম্মেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে শেষে হয়েছে ৩২৪ রানে। জবাবে ব্যাটিং নেমে ২৪৬ রানে শেষ হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ইনিংস।  প্রথম ইনিংস থেকে বাংলাদেশ  ৭৮ রানের লিড পোলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসে এক পাশ থেকে ৫ উইকেট নেয় নেতৃত্ব দিয়েছেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা নাইম ইসলাম। এছাড়া সাকিব ৩টি ও তাইজুল এবং মেহেদি ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৯২.৩ ওভারে ৩২৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৪৬

ইনিংসের ইতি টানলেন সাকিব: ক্যারিবিয়ানদের ইনিংসের ইতি টানলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলীয় ২৪৬ রানে ক্যারিবিয়ানদের শেষ ব্যাটসম্যা্ন হিসেবে গ্যাবরিয়ালকে ৬ রানে ফেরান তিনি।ইনিংসে এটি তার তৃতীয় শিকার। 

নাইমের ৫ উইকেট: অভিষেক টেস্টে পাঁচ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখালেন নাইম ইসলাম। ওয়ারিকানকে ১২ রানে ফিরিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন নাইম। 

নাইমের জোড়া শিকার: চা বিরতী থেকে ফিরেই উইকেট হারালো ক্যারিবিয়ানরা। দলীয় ১৯৯ রানে তাদেরকে জোড়া ধাক্কা দিলেন অভিষিক্ত নাইম হাসান। প্রথমে তিনি ৭ রান করা  বিশুকে এল বি  ডব্লিই করে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান। এরপর দলীয় ২০৫ রানে একই ওভারে শেষ বলে বিশুর জায়গায় ব্যাট করতে নামা রোচকে ২ রান  এল বি  ডব্লিই করেন তিনি। এতে প্রথম ইনিংসে নাইমের সংগ্রহ দাড়ালো ৪ উইকেট।

প্রতিরোধ ভাঙলেন মিরাজ: ৮৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর হেটমায়ার ও ডাওরিচ জুটি ঝড়ো গতিতে রান তুলছিলেন।এই জুটিতে অবশেষে প্রতিরোধ গড়লেন মিরাজ। দলীয় ১৮০ রানে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন অর্শশতক নিয়ে ব্যাট কার হেটমায়ার। তিনি ক্রিজ ছাড়ার আগে ৪৭ বল থেকে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। 

নাইমের অভিষেক উইকেট: টেস্ট ক্রিকেটে নিজের অভিষেক উইকেট তুলে নিলেন নাইম হাসান। ইনিংসের ২৯ তম ওভারে প্রথম বলে চেজকে শর্ট লেগে ইমরুলের হাতে ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলনে ফিরিয়ে দেন। এখানেই শেষ নয়। দলীয় ৮৮ রানে সেই অ্যামব্রিসকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত েকরেন তিনি। এল বি ডব্লিই হওয়ার আহে তিনি ১৯ রান করেন। 

স্ট্যাম্পিং মিস করলেন মুশফিক: ৩১ রান ক্যারিবিয়ানরা ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর অ্যামব্রিস ও চেজ জুটিতে জুটিতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছে ক্যারিবিয়ানরা। তাদের জুটিটি আস্তে আস্থে ভয়ংকর হয়ে উঠছিল। এ সময় অভিসেক টেস্ট খেলতে নাইম ইনিসমের ২৮ তম ওভারের শেষ বলে অ্যামব্রিসকে স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ নষ্ট করেন। মুশফিক বল সংগ্রহ করে প্রথমেই বল দিয়ে ষ্ট্যাম্প ভাঙতে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয় দফায় উইকেটে ভাঙলের সে অল্পের জন্য ক্রিজের মধ্যে ব্যাট রাখতে সমর্থ হল অ্যামব্রিস।

স্বস্তি নিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ: স্বস্তি নিয়ে লাঞ্চে গেলো বাংলাদেশ দল।তাইজুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসানের স্পিন ঘূণিতে দিশেহারা ক্যারিবিয়ানরা। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। তবে এর পর আর কোনো উইকেট না হারিয়েই লাঞ্চে গেলো তারা। ৫৪ নিয়ে লাঞ্চ বিরতীতে গেছে। সুনিল অ্যামব্রিস ৫ ও চেজ ১৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশেনে ব্যাটিংয়ে নামবেন।

সাকিবের জোড়া আঘাত: দীর্ঘ দুই মাস মাঠের বাইরে থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে প্রথম ওভারেই জ্বলে উঠলেন সাকিব আল হাসান।দলীয় ৩০ রান ও ইনিংসের ১২তম ওভারে সাকিবের প্রথম বলেই ক্রিজে ছেড়ে আসেন শাই হোপ। এ সময় লেট স্ট্যামে বল লেগে বোল্ড হন হোপ। একই ওভারের ষষ্ঠ বলে সাকিব নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করে ক্যারিবিয়ান অধিনাক ব্যাথওয়েটকে। দলীয় ৩১ রানের মাথায় সাকিবের অসাধারণ একটি বলে সৌম্যর হার ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যাথওয়েট।

প্রথমেই তাইজুলের প্রতিরোধ: ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে প্রথমেই প্রতিরোধ গড়লেন তাইজুল ইসলাম। দলীয় ২৯ রানে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান কিরন পাওয়েলকে ১৪ রানে এল বি ডব্লিই করলেন তিনি। 

বাংলাদেশ ইনিংস

এর আগে বৃহস্পতিবার টেস্টের প্রথম দিনে টসে জীতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরুতেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারালেও মোমনিুল ও কায়েস দলকে সে ধাক্কা সামলে উঠেন। তাদের ১০৪ রানের জুটিতে ঘুড়ে দাড়ায় বাংলাদেশ। এটিই ছিল প্রথম ইনিংস বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি।সর্বোচ্চ ১২০ রান আসে মোমিনুলের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন কায়েস। 

দলীয় ২২২ রানে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে ধ্বস নামে। ১৩ রানের ব্যবধানে মোমিনুল, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ ও সাকিব আল হাসান ফিরে যান। তবে এ ধ্বস থেকে টেনে তোলেন টেলেন্ডরার। শেষ দিকে নবাগত নাইম ও তাইজুল নবম উইকেটে ৬৫ রান তোলেন।যা বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনে। নাইম ২৬ ও মিরাজ করেন ২২ রান। এছাড়া তাইজুল ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ওয়ারিকান ও গ্যাবরিয়েন ৪ টি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া কিমার রোচ ও বিশু একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

Bootstrap Image Preview