মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের ‘টেঁটা যুদ্ধে’ ২৪ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে এবং টেঁটাবিদ্ধ ১০ জনকে গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) উপজেলার বালুচরে এ সংঘর্ষের সময় ভাঙচুরের কারণে বেশ কিছু বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
টেঁটাবিদ্ধরা হলেন- খোকন সরকার (৪৫), আক্তার মুন্সী (২৮), জাকারিয়া (২২), মিলন (৩০), আসাদ মোল্লা (৪৫), জামাল মোল্লা (৫০), মাসুম (৪০), আক্তার মোল্লা (২৮), মজিবর মুন্সী (৫৫) ও মোক্তার হোসেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নুরু বাউল ও নাছির মোল্লা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর আগে এই বিরোধের জের ধরে হওয়া সংঘর্ষে গত ২০ আগস্ট নাসির মোল্লা গ্রুপের তকবির মোল্লা নামে এক সমর্থক টেঁটাবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় সেই সময় আওলাদ মোল্লা বাদী হয়ে ৬০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলার ৩৪ জন আসামি গ্রেফতার হলেও ১৯ অক্টোবর ২৭ জন আসামি জামিন পেয়ে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেন।
দুদিন উত্তেনাজনার পর বৃহস্পতিবার সকালে টেঁটাযুদ্ধ শুরু হলে দুই গ্রুপের ১০ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ২৪ জন আহত হন। এ সময় নাছির গ্রুপের বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে সিরাজদিখান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়ি থানা পুলিশের সাহায্য নেয় তারা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিরাজদিখান সার্কেলের সিনিয়র এএসপি আসাদুজ্জামান বলেন, সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়ি থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে এবং ২ জনকে আটক করা হয়েছে।