কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে একদিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে ১৩ শিশু আহত হয়েছেন। পৌরসভার ২, ৩, ৫ ও ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। আহতরা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড এলাকার মো. ইদ্রিছের ছেলে সাজ্জাদ (৮), ৩ নং ওয়ার্ডের বাটাখালী এলাকার আবদুল গণির ছেলে জয়নাল আবেদীন (১২), নুরুল হকের ছেলে সুমন (৭), আকতার আহমদের ছেলে মনজুর আলম (১১), জয়নাল আবেদীনের ছেলে রিপু (১৪), আবুল কালামের মেয়ে তারিন (১৭), মো. জুনাইদের ছেলে আবরার (৪), ৫নং ওয়ার্ড উত্তর কাহারিয়াঘোনা এলাকার মো. হাসানের মেয়ে সিফাত (১০), মনজুর আলমের ছেলে আবুল কাশেম (১৬), মো. জাকারিয়ার ছেলে মো. জিসান (১৭), মনজুর আলমের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (৭), ৮নং ওয়ার্ড স্টেশন পাড়া এলাকার তানভীরের মেয়ে তাজবি (৬), ফাঁশিয়াখালী এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে আহাদ (৮)।
আহত ইয়াছিন আরাফাতের বড় ভাই আমজাদ হোসেন বলেন, সকাল থেকে একটি পাগলা কুকুর আমাদের গ্রাম উত্তর কাহারিয়া ঘোনা এলাকায় আসে। বুধবার ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুরা রাস্তায় খেলাধুলা করছে, আবার অনেকে বেড়াতে বের হয়। সকাল থেকে একটি কুকুর কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদের এলাকার ৪ শিশুকে কামড়ায়। আমার ছোট ভাই আরাফাত মায়ের সাথে বেড়াতে যাওয়ার সময় হঠাৎ রানে কামড় দিয়ে আহত করে। পরে এলাকার লোকজন ওই কুকুরটিকে ধাওয়া দিয়ে এলাকা ছাড়া করে।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী চিকিৎসক মো. নিজাম উদ্দিন জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১৩ শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় বাইরের ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন ক্রয় করে পুশ করা হয়েছে। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছে।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, পৌরসভায় কোন ধরনের ভ্যাকসিন নেই। তবে কুকুর নিধনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।