আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হয়ে হিরো আলমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন হিরো আলম। এ জন্য তিনি বগুড়া-৪ আসন থেকে জাপার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমাও দিয়েছেন।
তবে কোনো কারণে জাপা থেকে মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচনী মাঠ ছাড়বেন না তিনি। সে ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন হিরো আলম।
হিরো আলম বলেন, জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র কে পাবে তা প্রায় ঠিক হয়ে গেছে। আমাকে দেয়া হবে কিনা তা এখনো জানতে পারিনি। আমার ধারণা পাবো।
তিনি বলন, তবে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি থেকে যদি মনোনয়ন নাও পাই, সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করবো।
এর আগে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন ফরম কেনার পর বিপক্ষ পার্টির লোকরা হিরো আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নির্বাচন থেকে তাকে সরিয়ে দিতেই এসব মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে হিরো আলমের পরিবার নিয়ে নানা কথা উঠছে। যেখানে বলা হচ্ছে, হিরো আলম তার শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন। তিনি নিজের সন্তান ও স্ত্রীর খোঁজ নেন না। তবে এসব তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন হিরো আলম।
নিজের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘আমি ইদানিং ঢাকায় বেশি থাকি। তাই আমার স্ত্রী ও আমার বাবা ব্যবসা দেখে। আমি সুযোগ পেলেই চলে যাই। আমার বিরুদ্ধে বিপক্ষ পার্টির কয়েকজন নিউজ করাচ্ছে। তারা চায়, আমার নামে বদনাম ছড়িয়ে দিয়ে আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে, আমি জানি কারা এসব করছে। এর আগেও এমন নিউজ তারা করিয়েছিল।’
এই মডেল-অভিনেতা বলেন, ‘ভাই দেখেন, আমাকে নিয়ে কী সব বাজে কথাবার্তা বের করেছে। অনেক পত্রিকাগুলোতেই এসেছে। আমার বাসায় আমার বাবাকে এর জন্য অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।'
হিরো আলম বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি, আমার সব ভালো কাজের জন্য আমার অনুপ্রেরণা আমার স্ত্রী। আর যেসব গুজব হয়েছে এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আপনি চাইলে এ বিষয়ে আমার স্ত্রী সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’
বগুড়ায় ক্যাবল সংযোগ স্থাপনের ব্যবসা রয়েছে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের। সেই সুবাদেই তিনি নিজের স্থানীয় সংযোগগুলোতে প্রচারের জন্য কিছু মিউজিক ভিডিও তৈরি করেছিলেন বিভিন্ন সময়, যা গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে।
দেশজুড়ে হিরো আলমের ভিডিও নিয়ে কৌতুক শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় তার ভিডিও নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে ট্রল হয়। গত বছরে ফেসবুক ও ইউটিউবে তুমুল ঝড় তুলেছিলেন এই হিরো আলম। জাতীয় দলের ক্রিকেটার, তারকা অভিনেতাদের সঙ্গে সেলফি তোলাসহ নানা কারণে তিনি আলোচিত হন মূলধারার গণমাধ্যমেও। শুধু তাই নয়, ইন্টারনেটে খোঁজার ক্ষেত্রে বলিউড তারকা সালমান খানকে পেছনে ফেলেন হিরো আলম।