পত্নীতলায় ব্যানার-পোষ্টার এখনো দৃশ্যমান

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন কতৃক নির্দেশকৃত নির্বাচনী প্রচারণা সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নামানোর সময় বেধে দিলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি। নির্ধারিত সময় থেকে আরো বেশি দিন বাড়ানো হলেও নেতাকর্মীদের এ নিয়ে মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি। ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন। নির্ধারিত সময়ে ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ না করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এখনো চলছে আচরণবিধি লঙ্ঘন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার সদর নজিপুর বাসস্টান্ডে নির্বাচনী ব্যানার পোস্টারের ছড়াছড়ি। একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রচারণা আর ভোট প্রদানের আহ্বান সম্বলিত পোষ্টারে ছেয়ে আছে সর্বত্র। দেয়াল, বৈদ্যুতিক পিলার, বিভিন্ন কর্পোরেট বিজ্ঞাপনের উপর, গাছের ডালে, বাশের খুঁটিতে ছড়িয়ে আছে এসব প্রচারণাগুলো।

এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি সংবলিত পোষ্টার দেখা গেলেও নির্বাচনী কোন প্রচারণা চোখে পরেনি নজিপুর সদরে, তবে পত্নীতলা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে যানা যায় প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে যে পোষ্টার, ফেষ্টুন লাগানো হয়েছে তা এখন পর্যন্ত অপসারণ করা হয়নি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, নির্বাচন সামনে তারা প্রচারণা করতেই পারে। কয়দিন থেকে অনেক টা কমেছে আবার আওয়ামী লীগের বেশকটি মনোনয়ন প্রত্যাশীর পোষ্টার ফেস্টুন এখনো চোখে পরছে। পোষ্টার আর ফেস্টুনের কারণে শহরের চিত্র বদলে তৈরি হয় বিজ্ঞাপনের নগরীতে। এভাবে যত্রতত্র পোষ্টার ছড়িয়ে শহরের সৌন্দর্যও নষ্ট হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে ইসির নির্দেশনা মান্য করা উচিৎ। এতে করে সকল দলের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছায়। তা নাহলে একক আধিপত্য নিজেদের জন্যেই ইমেজ নষ্ট করে।