নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নীতিমালার বাইরে গিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এমন কোনো কার্যকলাপে লিপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের উদ্দেশে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘নীতিমালার বাইরে গিয়ে কিংবা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এমন কোন কার্যকলাপে লিপ্ত হলে সেই সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করা হবে।’
সচিব বলেন, নির্বাচনে যারা পর্যবেক্ষক হবেন তারা শুধু ভোটকেন্দ্রে কোন অনিয়ম হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করবেন, তিনি তার লিখিত রিপোর্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে জমা দিবেন। কোন মিডিয়ার সাথে নির্বাচন বিরোধী বিরূপ মন্তব্য বা কথা বলতে পারবেন না। ছবি তুলতে পারবেন না, গোপন কক্ষে যেতে পারবেন না ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে সচিব বলেন, ‘লিখিত রিপোর্ট জমা দেয়ার আগে কোন মন্তব্য করবেন না। আপনারাও যখন কম্পাইল করে জমা দেবেন, তার আগে কোন মন্তব্য করবেন না। রিপোর্ট কম্পাইল হলে প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন এবং আমাদের কাছে জমা দিতে পারেন। পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি ও সংস্থার আচরণ হবে নিরপেক্ষ। এমন কোন ব্যক্তিকে আপনারা নিয়োগ করবেন না, যে কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য। এগুলো আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।’ একটি ভোটকেন্দ্রে মাত্র দুটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে, একটি পুলিশের ইনচার্জ আপরটি প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবহার করবেন।
সচিব বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে এই নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এবারের নির্বাচনে সংসদ বহাল থাকবে, সরকার থাকছে এবং সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি ও কোস্টগার্ডের সদস্যদের নিয়োগ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৮ সংস্থার প্রতিনিধিরা সারাদেশে নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করবে।