নির্বাচনের আগে ভুয়া খবরের ঝুঁকি কতটা ব্যাপক? আর এ ঝুঁকি এড়াতে করণীয়ই বা কী?ভুয়া প্রচারণার পেছনে উদ্দেশ্যটা খুবই পরিস্কার। পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে সহিংসতা উস্কে দেয়া কিংবা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরণের প্রবণতা দিনদিন কেন বাড়ছে? এই সব নিয়ে বিষেজ্ঞরাও নানারকম মত দিয়েছেন।
নির্বাচন আসলে অনলাইনে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়।উত্তেজনা সৃষ্টির আলোচিত কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এর আগেও। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভুয়া খবর ছড়িয়ে সুবিধা নেয়ার বা সহিংসতা সৃষ্টির প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন অনেকে।
১৪ই নভেম্বর ঢাকার নয়াপল্টনে নির্বাচনী মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে পুলিশের গাড়িতে এক যুবকের অগ্নিসংযোগের ছবি দুইভাবে ভাইরাল হতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।ছাত্রলীগ নেতা আর ছাত্রদল নেতা হিসেবে ঐ ছবিতে ছবিতে যুবকের পরিচয় দেয়া হয়। যা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। এই বিভ্রান্তি শুধু আজ নয়, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন গণমাধ্যমকে এই বিষয়ে বলেন, "প্রযুক্তি এখন মানুষের কাছে অনেক সহজলভ্য। যাদের দক্ষতা আছে, তারা চাইলেই একজনের দেহে আরেকজনের ছবি বসিয়ে দিতে পারেন।"
এসব কাজ করে ফায়দা নেয়ার সুযোগ স্বাভাবিক সময়ে কম থাকে বলে যখন দেশে কোন বড় ঘটনা ঘটে তখন ভুয়া প্রচারণার প্রবণতা বেড়ে যায় বলে মনে করেন মিজ নাসরিন।