সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ব্যাটারী চালিত ভ্যানের ভিড়ে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রশাসনিক জোরালো কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় বিভিন্ন সড়কগুলোতে দিনদিন বেড়েই চলেছে রেজিস্ট্রেশন বিহীন এসব যানবাহন।সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাস্তায় চাঁদাবাজী।
স্থানীয়া জানান, সড়ক ও মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদা দিয়ে চলাচল করছে চার্জার ব্যাটারি চালিত ও স্থানীয়ভাবে তৈরি করা ব্যাটারি দ্বারা চালিত ভ্যান। যন্ত্রচালিত এসব ভ্যানের দাপটে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে প্যাডেল চালিত ভ্যান। আর এসব অবৈধ যানের ব্যাটারী চার্জ দিতে বিপুল পরিমান বিদ্যুৎ চুরি হলেও স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। পাটকেলঘাটার বিভিন্ন রুটের রাস্তা গুলোয় ভয়াবহ যানজটের অন্যতম কারনই হচ্ছে এসব ব্যাটারী চালিত ভ্যান।
ভুক্তভোগী পথচারীরা জানান, ব্যাটারী চালিত এ যান এতটাই দ্রুতগামী এবং বেপরোয়া যার গতি সামলে পথ চলা বা পারাপার দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিনিয়ত সড়ক র্দুঘটনার জন্য দায়ী এসব ব্যাটারী চালিত যানবাহন। যানগুলো দ্রুত গতিতে চলার সময় অনেক সময় স্কুল কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের বিপদের সীমা থাকে না। প্রশাসন এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে শোনা গেলেও তার কোন বাস্তব পদক্ষেপ নাই। সরকারিভাবে অনুমোদনহীন ব্যাটারী চালিত ভ্যান বাজার, সড়ক, মহাসড়ক থেকে কবে নাগাত উচ্ছেদ হবে কেউ জানে না।
এক সূত্রে জানা যায়, ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যান তৈরিতে খরচ পড়ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। যে হারে প্রতিদিন ব্যাটারি চালিত ভ্যান তৈরি হচ্ছে সে হিসেবে বছরের শেষে এর সংখ্যা দাঁড়াবে ৮ থেকে ১০ হাজার। প্যাডেল চালিত রিকশা-ভ্যান মালিকরাও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে তৈরি করছেন এ বাহন। যন্ত্রচালিত রিকশা-ভ্যানের বেপরোয়া গতি ও চালকদের অদক্ষতার কারণে নিত্যদিনই দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে পথচারী ও যাত্রীদের।
যন্ত্রচালিত রিকশা-ভ্যানে ১২ থেকে ১৬ ভোল্টের ৪ থেকে ৬টি করে রিচার্জেবল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। বিদ্যুৎ অপচয় করে চলছে এসব ব্যাটারী চার্জের কাজ। থানার সড়ক ও মহাসড়কে ইজি-বাইকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনদিন ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ীর চলাচল ভয়াবহ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে দূরপাল্লার যানবাহনের চালকেরা বলছেন, এতে যান চলাচলে সমস্যার পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনার আশংকা। আর ভ্যানের চালকেরা বলছেন জীবিকার তাগিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এগুলো বন্ধের জন্য প্রশাসনিক মহলের নির্দেশ আসলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ সকল অবৈধ ব্যাটারী চালিত যানের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।