বিশ্বখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর নতুন তালিকায় গবেষণায় সেরা ৩০ বছরের কম বয়সী ৩০ জনের মধ্যে (থার্টি আন্ডার থার্টি) রয়েছেন বাংলাদেশি যুবক বায়োলজিস্ট জি এম মাহমুদ আরিফ পাভেল। তালিকার প্রথম দিকেইতার নাম রয়েছে। তার বয়স ২৯ বছর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করার পর নিউইয়র্কের সেন্ট জোন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পিএইচডি করেছেন। মানব শরীরের আয়োন চ্যানেল নিয়ে গবেষণা করছেন পাভেল। এই চ্যানেলকে ‘ফান্ডামেন্টাল সেন্সর্স অব লাইফ’ অভিহিত করে তা এ্যানেসথেসিয়াসহ অটোসমাল পলিসিসটিক কিডনি রোগের চিকিৎসায় নবদিগন্তের সূচনা ঘটাতে পারে বলে মনে করেন পাভেল। বর্তমানে মাহমুদ পাভেল পোস্ট ডক্টরাল এসোসিয়েট হিসেবে ‘স্ক্রিপস রিসার্চ’-এ কাজ করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ বছরের কম বয়সী তরুণ-তরুণীরা মানবকল্যাণে গবেষণা-উদ্ভাবনে অবদান রাখছেন। তাদের মধ্য থেকেই ৩০ জনকে সম্মানিত করার উদ্দেশ্যে অন্য বছরের মতো এবারও তালিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয় ফোর্বস।
কয়েক হাজার মেধাবির তালিকা সংগ্রহের পর ৪ বিচারকের মাধ্যমে সবকিছু পর্যবেক্ষণ, যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে গত শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে সেই সেরা মেধাবি বিজ্ঞানীদের তালিকা। একইভাবে গণমাধ্যম, সঙ্গীত, ব্যবসা, আর্ট, শিক্ষা, জ্বালানিসহ ২০ ক্যাটাগরির তালিকাও প্রকাশ করেছে ম্যাগাজিনটি। গত ৮ বছর থেকেই এমন তালিকা প্রকাশ করছে ফোর্বস।
আমেরিকা অঞ্চলের সেরা ৩০ বিজ্ঞানীর তালিকা দক্ষিণ এশিয়ান বংশোদ্ভূতদের মধ্যে আরো রয়েছেন মেঘালি চুপরা (২৯), হাসিনী জয়তিলকা (২৯), নাসরিন মোস্তফা (২৮), মৈত্র রাঘু (২৭), দেবাকি রাজ (২৮), গীতাঞ্জলি রাও (১২)।