Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘এই যুদ্ধ, এতো রক্তপাত ও লাশ দেখতে দেখতে আমরা ক্লান্ত'

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৫ PM
আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহী আর সৌদি সমর্থিত সরকারের মধ্যে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে ইয়েমেনের সর্বত্রই। সাধারণ নাগরিক যে দলের পক্ষেই থাকুক, এ যুদ্ধ আরব বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীটিকে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে।

বিদ্রোহী দখলকৃত সানা ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এডেনের বাসিন্দারা একটি ব্যাপারে একমত। তারা সবাই শান্তি চায়। চার বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ দেশটিতে চরম মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
 
অনুন্নত দেশটির বাসিন্দারা প্রায় প্রতিদিনই প্রতিপক্ষ বিরোধী প্রপাগাণ্ডা ও উত্তেজনা সৃষ্টিকারী বক্তব্য-বক্তব্য শুনছে। এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে যুদ্ধরত দলগুলো তাদের সমর্থক সাধারণ মানুষকে ‘শত্রুদের বিরুদ্ধে’ লড়াইয়ে উদ্ভুদ্ধ করছে।

সশস্ত্র যোদ্ধারা সামরিক পোশাক পরে সরু অলিগলি থেকে শুরু করে বাজারের দেয়ালগুলোতে ‘শহীদ’ যোদ্ধাদের পোস্টার সেঁটে দিচ্ছে। কিন্তু অনেক ইয়েমেনি মনে করেন যথেষ্ট হয়েছে। আর যুদ্ধ নয়।

রাজধানীর বাজারগুলোতে মোহাম্মদের মতো দোকানীরা দোকান খুলে খদ্দেরের আশায় বসে থাকেন। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে চান। 

সানার বাব আল-সাবাহ মার্কেটের দোকানি আমিন মোহাম্মদ বলেন, ‘যুদ্ধে কোন ক্ষমা নেই। এটা সবকিছু গ্রাস করে নেয়। প্রতিদিনই ইয়েমেনিরা যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা শুনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’

কিন্তু দেশটির হুতি বিদ্রোহীরা নগরীর গণমাধ্যম ও মসজিদগুলোর মাইকে সরকার ও সৌদি সমর্থিত জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মানুষকে আহ্বান করছে। হুতি নিয়ন্ত্রিত আল-মাশিরাহ টিভি মানুষকে হুতি বাহিনীতে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য অব্যাহতভাবে সামরিক অভিযান ও রণসঙ্গীত প্রচার করছে। হুতিদের জনপ্রিয় স্লোগান হচ্ছে, ‘এটা আমাদের দেশ। এটা আমাদের যুদ্ধ।’

কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা হাসান আব্দেল করিম (৩৯) এতে ভ্রক্ষেপ করছেন না। সাত সন্তানের মুখের আহার যোগানোই এখন এই বাস চালকের একমাত্র চিন্তা। তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধ, এতো রক্তপাত ও লাশ দেখতে দেখতে আমরা ক্লান্ত।’

সানার এই বাসিন্দা আরো বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে। আর না। এখন সময় এসেছে ইয়েমেনকে নতুন করে সাজাবার। দেশ পুনর্গঠনে সকল মানুষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’

Bootstrap Image Preview